মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

নবীপ্রেমের চেতনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আমিন ইকবাল
আলেম ও লেখক

আরবি বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস ‘রবিউল আউয়াল’। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাতের মাস হিসেবে মুসলিম সমাজে রবিউল আউয়াল বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। রবিউল আউয়াল মুসলিম উম্মাহকে উজ্জীবিত করে। জাগ্রত করে নবীপ্রেমের চেতনাবোধ।

এ মাসে মুমিনের অন্তরে রাসুলের প্রতি ভালোবাসার ঢেউ ওঠে। বাতাসে ভেসে বেড়ায় নবী মুহাম্মদের নামে পবিত্র দরূদ। সীরাতুন্নবীর সা. এত চর্চা আর কোনো মাসে হয় বলে মনে হয় না! গ্রাম-গঞ্জে মাহফিলে, মাদরাসা-মসজিদে, অফিসে, বাড়িতে- সর্বত্র এ মাসে ব্যাপক আয়োজন হয়।

সেসব অনুষ্ঠানে হজরত রাসুলুল্লাহর জীবন থেকে শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে ইসলামি চিন্তাবিদ ও উলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। সাধারণ মুসলমান সেখান থেকে গ্রহণ করেন নবীজির আদর্শ গ্রহণের পাথেয়।

এ সব অনুষ্ঠানে সমবেতভাবে হজরত রাসুলুল্লাহর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করা হয়। রবিউল আউয়াল এমন এক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী- যার তুলনা নেই। তবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে অনেকেই ভুল করে থাকেন।

মূলত তাঁর দেখানো পথ ও রেখে যাওয়া আদর্শের অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্য করতে হবে। হজরত রাসুলুল্লাহর সা. প্রতি ভালোবাসা কি পরিমাণ থাকা উচিত; সে কথা তিনি নিজেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ সত্যিকারের মুমিন হবে না, যে পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা, পুত্র ও সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় বলে গণ্য না হব।’ [আল হাদিস]

আমাদের মহব্বতের প্রকাশভঙ্গিটা যথার্থ কি-না, তা বিবেচনার দাবি রাখে। অনুষ্ঠানের হিড়িক, চোখ ধাঁধানো চাকচিক্য এবং মহব্বতে রাসুলের সস্তা প্রয়োগের কারণে মাহে রবিউল আউয়াল আমাদের জীবনধারায় কোনোই পরিবর্তন আনতে পারে না।

গতানুগতিক বহমান স্রোতে পণ্ড হয়ে যায় রবিউল আউয়ালের প্রকৃত চেতনা ও দাবি। রবিউল আউয়ালের পয়গাম ও দাবি কী- সেগুলোও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তাই, নবীজির জীবন নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। গবেষণা করতে হবে। তবেই আমরা রবিউল আউয়ালের চেতনা জেগে তুলতে পারব।

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূতের মতো জীবনাদর্শে ভরে উঠুক আমাদের সকলের জীবন। নবীপ্রেমের চেতনাবোধ জাগ্রত হয়ে শান্তিময় হয়ে উঠুক সমগ্র পৃথিবী- এই প্রত্যাশা পবিত্র রবিউল আউয়ালে।

লেখক: সহযোগী সম্পাদক, মাসিক রাহমানী পয়গাম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ