শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

নবীপ্রেমের চেতনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আমিন ইকবাল
আলেম ও লেখক

আরবি বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস ‘রবিউল আউয়াল’। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাতের মাস হিসেবে মুসলিম সমাজে রবিউল আউয়াল বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। রবিউল আউয়াল মুসলিম উম্মাহকে উজ্জীবিত করে। জাগ্রত করে নবীপ্রেমের চেতনাবোধ।

এ মাসে মুমিনের অন্তরে রাসুলের প্রতি ভালোবাসার ঢেউ ওঠে। বাতাসে ভেসে বেড়ায় নবী মুহাম্মদের নামে পবিত্র দরূদ। সীরাতুন্নবীর সা. এত চর্চা আর কোনো মাসে হয় বলে মনে হয় না! গ্রাম-গঞ্জে মাহফিলে, মাদরাসা-মসজিদে, অফিসে, বাড়িতে- সর্বত্র এ মাসে ব্যাপক আয়োজন হয়।

সেসব অনুষ্ঠানে হজরত রাসুলুল্লাহর জীবন থেকে শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে ইসলামি চিন্তাবিদ ও উলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। সাধারণ মুসলমান সেখান থেকে গ্রহণ করেন নবীজির আদর্শ গ্রহণের পাথেয়।

এ সব অনুষ্ঠানে সমবেতভাবে হজরত রাসুলুল্লাহর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করা হয়। রবিউল আউয়াল এমন এক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী- যার তুলনা নেই। তবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে অনেকেই ভুল করে থাকেন।

মূলত তাঁর দেখানো পথ ও রেখে যাওয়া আদর্শের অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্য করতে হবে। হজরত রাসুলুল্লাহর সা. প্রতি ভালোবাসা কি পরিমাণ থাকা উচিত; সে কথা তিনি নিজেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ সত্যিকারের মুমিন হবে না, যে পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা, পুত্র ও সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় বলে গণ্য না হব।’ [আল হাদিস]

আমাদের মহব্বতের প্রকাশভঙ্গিটা যথার্থ কি-না, তা বিবেচনার দাবি রাখে। অনুষ্ঠানের হিড়িক, চোখ ধাঁধানো চাকচিক্য এবং মহব্বতে রাসুলের সস্তা প্রয়োগের কারণে মাহে রবিউল আউয়াল আমাদের জীবনধারায় কোনোই পরিবর্তন আনতে পারে না।

গতানুগতিক বহমান স্রোতে পণ্ড হয়ে যায় রবিউল আউয়ালের প্রকৃত চেতনা ও দাবি। রবিউল আউয়ালের পয়গাম ও দাবি কী- সেগুলোও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তাই, নবীজির জীবন নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। গবেষণা করতে হবে। তবেই আমরা রবিউল আউয়ালের চেতনা জেগে তুলতে পারব।

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূতের মতো জীবনাদর্শে ভরে উঠুক আমাদের সকলের জীবন। নবীপ্রেমের চেতনাবোধ জাগ্রত হয়ে শান্তিময় হয়ে উঠুক সমগ্র পৃথিবী- এই প্রত্যাশা পবিত্র রবিউল আউয়ালে।

লেখক: সহযোগী সম্পাদক, মাসিক রাহমানী পয়গাম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ