শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বেফাক ছাড়া ৫ বোর্ডের আলাদা বৈঠক; প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
ডেস্ক

অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, কওমি সনদের স্বীকৃতি বিষয়ে পূর্ব সিদ্ধান্ত বহাল, দেওবন্দের ৮ মূলনীতির বাইরে না যাওয়া এবং সরকারের কোনো রকম আনুকূল্য ও হস্তক্ষেপ না করা বিষয়ে বৈঠক করেছে সরকার স্বীকৃত আল হাইআতুল উলয়াইয়া’র ৫ বোর্ড।

বৃহস্পতিবার বার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জামিয়া মাদানিয়া শোলকবহর মাদরসাায় সকালে এক দীর্ঘ বৈঠক করে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের বাইরে অন্য ৫ বোর্ড।

চট্টগ্রামের পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক ও ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়ার সভাপতি আল্লামা আবদুল হালিম বুখারীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট আজাদ দীনি এদারা’র পক্ষ থেকে মাওলানা আবদুল বাছিত বরকতপুরী (সেক্রেটারি) মাওলানা এনামুল হক ও মাওলানা ইউসুফ খাদেমানী।

তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়া উত্তরবঙ্গের পক্ষ থেকে মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি এনামুল হক, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল হক হক্কানী।

জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে মুফতি মুহাম্মদ আলী (সেক্রেটারি) মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আবুল কাসেম।

বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গহরডাঙ্গা বোর্ডের পক্ষ থেকে মুফতি রুহুল আমিনের ছেলে মাওলানা উসামা আমিন বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও সিদ্ধান্তে একমত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৈঠক শেষে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে জানান, গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম দারুল উলুম দেওবন্দের ৮ মূলনীতি মেনে- সরকারের কোনো রকম আনুকূল্য ও হস্তক্ষেপ গ্রহণ না করে কওমি শিক্ষা সনদের সরকারি মান গ্রহণ করবো।

‘এটিই ছিল রেজুলেশনের প্রথম সিদ্ধান্ত। আজ অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে কওমি শিক্ষা সনদের সর্বোচ্চ অথরিটি হাইআতুল উলয়ার কতিপয় ব্যক্তি বিশেষ এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কওমি শিক্ষা সনদের স্বার্থ পরিপন্থী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এগুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। তাই আজ বেফাক ছাড়া ৫ বোর্ড একত্রিত হয়েছি’।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি, সরকারের কোনো রকম হস্তক্ষেপ ও আনুকূল্য থাকলে আমরা এ স্বীকৃতি মেনে নেব না।

মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আরও জানান, অচিরেই তারা আট মূলনীতি সামনে নিয়ে স্বীকৃতি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

নিজেদের সঙ্গে আগে না বসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ নিয়ে যাওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একাধিকবার আমরা হাইআতুল উলয়ার বেফাক প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠকের কথা বলেছি, প্রতিটি মিটিংয়ে গঠনমূলকভাবে আমরা বিষয়গুলোর বিরোধিতা করেছি, বরাবরই তারা এড়িয়ে গেছেন।

আর আমরা তো নালিশ নিয়ে যাচ্ছি না, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন- আলেমরাই কওমি মাদরাসার শিক্ষানীতি তৈরি করবে, সে বিষয়টিই অবগত করানোর জন্য যাচ্ছি, বলেন তিনি।

কওমি শিক্ষা সনদের ক্ষেত্রে ৩২ সদস্যই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে বিষয়গুলো নিজস্ব ফোরামে আরও বিস্তারিত আলোচনা না করে কেন কঠোর হচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,, জমি নেয়ার প্রসঙ্গ যখন এলো আমরা বিষয়টির বাধা দিয়েছি।

‘মুফতি ওয়াক্কাস সাহেব মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে বললেন, দেশের অনেক মসজিদ মাদরাসা সরকার থেকে জমি নিয়েছে সেটি তো কোনো সমস্যা হয়নি। হাইআতুল উলয়া নিলে সমস্যা কোথায়?’

‘কওমি মাদরাসা বিষয়ে সরকার কেন ইউজিসির মাধ্যমে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করবে এবং সেখানে কেন একজন আলেমও রাখা হবে না বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। সেখানেও তারা বললেন, এটাও নাকি সরকারি প্রক্রিয়া।’

‘সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রশ্নগুলো তোলার কারণে আমাদের কওমি বিদ্বেষী উল্লেখ করে বেফাক মহাসচিবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হচ্ছে গণমাধ্যমে। এ কারণেই আমরা বৈঠক করতে বাধ্য হয়েছি।’

বিষয়গুলো নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হাইআতুল উলয়ার অন্যতম সদস্য মাওলানা আবদুল কুদ্দুস আওয়ার ইসলামকে বলেন, শুধু শুধু বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তো আর লাভ নেই। আমরাও তো দেওবন্দের ৮ মূলনীতি মেনেই স্বীকৃতি চাই। জমি তো আমরা এখনো নিয়ে নেইনি। নেয়া না নেয়া একান্তই কওমি আলেমদের ব্যাপার।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ৯ সদস্যের কমিটির যে কথা বলা হচ্ছে সেটি সরকারের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সেখানেও তো আমাদের কিছু করার নেই। বিশ্ব বিদ্যালয়ের মান পেতে হলে এ প্রক্রিয়াতেই যেতে হবে।

বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে ৫ বোর্ডের নেতৃবৃন্দ্র দ্বিমত পোষণ করলে এবং জরুরি বৈঠকের কথা বলা হলেও কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন এ প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, বৈঠকে বসেই সবকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। জরুরি মিটিংয়ের কথা আমাদের কেউ বলেনি।

এসব সমস্যা নিজস্ব ফোরামে বসেই সমাধান করা সম্ভব বলেও মনে করেন জামিয়া ইমদাদিয়া ফরিদাবাদ’র প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।

আসছে রবিউল আওয়াল, জীবনের শ্রেষ্ঠ চিঠিটা নবীজিকেই লিখুন

[সারাদেশের তরুণ যুবারা নবীজিকে চিঠি লিখছেন, হৃদয়ের আকুতি মনের আবেগ ভালোবাসার নজরানা পেশ করছেন রওজা পাকে। আপনি বসে থাকবেন কেন? লিখে ফেলুন নবীজিকে নিয়ে আপনার শ্রেষ্ঠ চিঠি। পাঠিয়ে দিন আওয়ার ইসলামের ইমেইলে। সিরাজ চর্চায় অনন্য ভূমিকা রাখুন। সেরাদের জন্য পুরস্কার সম্মাননা তো থাকছেই….]


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ