'সাইবার-সেভেন্টি-ওয়ান-বাংলাদেশি হ্যাকার' নামের একটি গ্রুপ মিয়ানমারে সাইবার হামলা চালিয়েছে। এ পর্যন্ত তারা মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটে 'সাইবার হামলা' চালাতে সক্ষম হন।
গ্রুপটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ হিসেবে মিয়ানমারে সাইবার হামলা চালিয়েছে তারা। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ না হবে ততদিন এ হামলা চলবে বলেও তারা জানান।
গ্রুপটি নিজেদের 'এথিক্যাল হ্যাকার' গোষ্ঠী বলে দাবি করে।
গ্রুপটির মুখপাত্র তানজিন আল ফাহিম জানান, এ পর্যন্ত মিয়ানমারের যেসব সাইটে হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে আছে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দফতরের ওয়েবসাইট, কাস্টমস বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তাদের হামলার পর এসব সাইট বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। তারা এসব সাইটে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবি সম্বলিত ব্যানার সেঁটে দেন।
এর আগেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে যখন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তখন এই গ্রুপটি কয়েকটি পাকিস্তানি সাইট হ্যাক করে।
লক্ষ্মীপুরে প্রতীকী আদালতে সু চির ফাঁসি
মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে আন্তর্জাতিক প্রতীকী আদালত তৈরি করে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির ফাঁসি দিয়েছে সেখানকার জনতা।
বিক্ষুব্ধরা রায় কার্যকর করে পাথর নিক্ষেপসহ কুশপুত্তলিকা দাহ করে সুচির। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের জকসিন বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা।
প্রতীকী আদালতের বিচারক ছিলেন মো. অহিদুজ্জামান বাবলু, সহকারী বিচারক ছিলেন শেখ হারুন, আব্দুল আজিম শাকিল। প্রতীকী আদালতের মামলার বাদী ছিলেন স্থানীয় বাঙ্গাখা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজান ভূঁইয়া।
আয়োজকরা জানান, আন্তর্জাতিক আদালতে অং সান সু চির বিচারের দাবি ও বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা ও মিয়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদসহ লক্ষ্মীপুরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে তাদের এমন আয়োজন।