শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ঈদের রাতে নাজাতের ডাক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজী জোনায়েদ আহমদ : রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। চারদিকে আনন্দের বন্যা বইছে। ইসলাম ধর্মে আনন্দ উৎসবের জন্যই এ ঈদের বিধান। তবে আনন্দের সীমানা পেরিয়ে উন্মাদনার শেষ সীমানায় পৌঁছানো মারাত্মক গুনাহ। আমরা ভুলে যাই আমাদের উৎসবের নিগূঢ় রহস্য।

দু:খজনক হলেও সত্যি মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এ ঈদে আমাদের অনেককেই দেখা যায়, অপসংস্কৃতির ছোঁয়ায় ডিসকো গানের আয়োজন করে। পরিতাপের বিষয় হলো, সে ঈদের মূল রহস্যটাই ভুলে গেছে। অথচ মহান আল্লাহ তাআলা এ রাতকে শবেবরাত ও শবেকদরের মতোই সর্বোচ্চ ফজিলত দিয়ে মহিমান্বিত করেছেন। এ রাতে ইবাদতের জন্য, তাঁর স্বীয় মুমিন বান্দাদের জন্য পুরষ্কার হিসেবে ঘোষণা করেছেন জান্নাতের।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে দুই ঈদের রাতে সওয়াবের নিয়তে ইবাদত করবে, তার অন্তর সেদিন মরবে না, যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি দুই ঈদের রাত জেগে থেকে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দিতেন। হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা.) আদি বিন আরতকে বললেন, চারটি রাতকে খুবই গুরুত্ব দিবে। যেমন- ১ রজবের রাত, শবেবরাত, ঈদুল ফিতরের রাত ও ঈদুল আজহার রাত। আল্লাহ তাআলা এসব রাতে অশেষ রহমত বর্ষণ করেন (তালখিসুল খাবির)। ঈদের রাতটি (চাঁদরাত) মুমিনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতকে ইবাদতের মাধ্যমে জীবন্ত রাখার ফলে মুমিনের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার সুসংবাদ রয়েছে। তাই এই রাতে অনর্থক কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে তার যথাযথ মর্যাদা দেওয়াই একজন প্রকৃত মুমিনের জন্য বাঞ্ছনীয়।

হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. হতে বর্ণিত, নবী সা.বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ রাত জেগে থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। সেই পাঁচটি রাত হলো:
১. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত।
২. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত।
৩. ঈদুল আজহার রাত।
৪. ঈদুল ফিতরের রাত।
৫. ১৫ শাবানের রাত।

তাই এ রাতে অবৈধ আনন্দ বিনোদনের পিছনে না পরে, বরং মহান আল্লাহর ঘোষিত পুরষ্কারের জন্য চেষ্টা করবে। তাছবিহ-তাহলীল, নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত সহ বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত কাটাবে। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হন। আমিন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ