সাজিদ নূর সুমন : ধোঁয়াশায় আর থাকবেন না। ধোঁয়াতেও নয়। বিদায় বলুন আপনার ধূমপানের নেশাকে। কিন্তু ধূমপায়ীদের কাছে এটাই হয়তো জীবনের কঠিনতম কাজ। ধূমপানের নেশা ছাড়ার জন্য অনেকে চেষ্টা করলেও, সফল হতে পারেন না। ফলে অবস্থা একই রকম থেকে যায়। হাজারও পরামর্শ, নানা ওষুধের বেড়া টপকে সেই হাতে রইল সিগারেট। আর মুখে রইল ধোঁয়া। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকা কিন্তু সহজ সমাধানের পথ বাতলে দিতে পারে। তাই নতুন করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বলা যায় না, এবার হয়তো সফল হবেন।
হরিতকি : আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি হরতকি। এর নানা গুণ আছে। স্বাদে তেতো হলেও, এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ। হরতকি দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে, একই সঙ্গে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। হরিতকি মুখে রেখে দিলে ধূমপান করার ইচ্ছে চলে যায়, এমনটাই বলছে আয়ুর্বেদ। তাই ধূমপান করার ইচ্ছে হলেই মুখে দিন হরিতকির টুকরো। অন্তত ৫-১০ মিনিট।
যষ্ঠিমধু : সিগারেট ছাড়তে সাহায্য করবে যষ্টিমধু। ধূমপান করার ইচ্ছে হলেই যষ্ঠিমধু সেই ইচ্ছে তাড়াবে। এটা প্রমাণিত।
দারুচিনি ও মধু : এক চামচ মধুতে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে জল দিয়ে খেলে ধূমপানের নেশা কাটে। দিনে ২-৩ বার এই মিশ্রণ খেলে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে কেটে যায়।
শুকনো আদা ও লেবু : আদার টুকরো ধূমপান ছাড়ায়। এটাও প্রমাণিত সত্য। লেবুর রসে আদার টুকরো ভিজিয়ে রেখে দিন। সঙ্গে যোগ করুন গোলমরিচ। এই মিশ্রণ ম্যাজিকের মতো সিগারেটের নেশাকে দূর করে।
গ্রিন টি : গ্রিন টি সিগারেটের নেশা ছাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তবে কফি খাবেন না। কফির ক্যাফেইন মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই তুলনায় গ্রিন টি অনেক বেশি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। এখন থেকেই তাই অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ফল : ধূমপান ছাড়তে বেশি করে টাটকা ফল, শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। একইসঙ্গে চর্বিযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে।
প্রচুর পানি খান : সিগারেট ছাড়ার পর প্রথম তিনদিন পানি খান প্রচুর পরিমাণে। পানি আপনার শরীরের ভেতর নিকোটিনকে খুব দ্রুত বের করে দেবে।
নিজের ইচ্ছা : ওষুধ আছে, পথ্য আছে। আর সব শেষে আছে আপনার মনের জোর। একমাত্র সেটাই পারে সিগারেটের বদভ্যাসকে আপনার জীবন থেকে তাড়াতে। তাই মনের জোরে এগিয়ে চলুন সুস্থ জীবনের রাস্তায়। সঙ্গে থাকুক এই টোটকাগুলো।
-এজেড
