শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নবীর দেশের ভাষা শিখতে দেওবন্দে ভর্তি হয়েছেন ৭৫ বছরের মাযহার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ মাদানী,দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত
জ্ঞান অন্বেষণের কোনে বয়স নেই৷জ্ঞানার্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার পূর্ণ আগ্রহ ও মনোযোগ।তার দৃষ্টান্ত পাওয়া গেলো দারুল উলুম দেওবন্দে। মাযহার হুসাইন নামে খুবই উচ্চ ডিগ্রিধারী এক বৃদ্ধা জ্ঞানের টানে ছুটে এসেছেন সেখানে। তার বয়স হয়েছে ৭৫ বছর।
দারুল উলুমে জামাতে জালালাইনে ভর্তি হয়েছেন এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্লাস করছেন।
ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের আওরঙ্গাবাদ এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মাদ মাযহার হুসাইন৷
কর্মজীবনে তিনি ছিলেন ইংরেজি শিক্ষক। ২০০০ সালে হলি ক্রাস ইংলিশ মিডিয়াম, আওরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র থেকে  অবসরে যান মাযহার হুসাইন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি নতুন করে পড়ালেখায় মনোযোগ দেন। এসময় তিনি বিএসসি, বিএড, এমএসসি, এমএড, এমএ উর্দু, পিজিডিসিএ এবং পিএইচডি ইত্যাদি ডিগ্রি অর্জন করেন৷
নতুন উদ্যোমে আবার পড়া-লেখা শুরু করার কারণ জানতে চাইলে বলেন, নিজের শিক্ষা জীবন বর্ধিত করার জন্যই কেবল আমার পড়া-লেখা৷
জনাব মাযহার হুসাইন জানান, বহু দিন যাবৎ পড়া-লেখা করে আসছি৷  বিভিন্ন উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর বিগত পাঁচ বছর স্থানীয় মাদরাসায় পড়া-লেখা করি৷ তখন থেকেই অন্তরে এক ভিন্ন রকম স্বাদ অনুভব করি৷ দীনি লেখাপড়ায় যে শান্তি হৃদয়ে অনুভব করেছি তা আর কখনো হয় নি৷ সেই শান্তি অনুভব থেকেই দেওবন্দে আসার বাসনা৷
তাবলিগের ব্যাপারে চার সিদ্ধান্ত; শীর্ষ আলেমদের বৈঠক
তিনি আরো বলেন, বহুদিন স্বপ্ন লালনের পর আল্লাহর ইচ্ছায় এ বৎসর আসলাম দেওবন্দে৷ আলহামদুলিল্লাহ দেওবন্দে আমার দাখেলাও এসেছে৷ আমার হৃদয়ের সেই তৃপ্তি আরো বেড়েছে দেওবন্দে এসে৷
ধর্মীয় পাঠে আগ্রহ সৃষ্টি হয় কিভাবে? উত্তরে বলেন, আমি একবার মক্কা ও মদিনায় গিয়েছিলাম৷ দেখলাম সবাই আরবি বলে৷ আমি কেবল বলতে পারি না। জেদ হলো৷ এত বছর জেনারেল লাইনে পড়ে কী শিখেছি৷ মাদরাসায় পড়লে তো অন্তত নবীর দেশের ভাষাটাও পারতাম! তাই সেখান থেকে ফিরে এসে মাদরাসায় ভর্তি হয়েছি৷ পাঁচ বছর পড়া-লেখা করেই তবে দেওবন্দে এলাম৷
তিনি জানান, আমি ইতিপূর্বে টিচার ছিলাম৷ তাই পড়া-লেখায় মনও বসে আমার বেশি৷ বর্তমানে আমার চেয়ে কম বয়সী টিচারদের কাছে পড়ছি আমি৷ আলহামদুলিল্লাহ খুবই সুন্দর পড়াচ্ছেন তারা৷ আমার ছেলে সন্তান সকলেই জেনারেল৷ তারা আমায় বাঁধা দেয় এ পথে আসতে৷ তবুও আমি এসে পড়েছি ইলমের টানে৷ প্রথমে ভেবেছিলাম বয়স বেশি হয়ে গেছে তাই পারব না৷ পরে ভাবলাম,শিক্ষা-দীক্ষার কোনো বয়স নেই৷ ইলেম অন্বেষণের জন্য জরুরি কেবল বিবেক-বুদ্ধি সঠিক থাকা৷ তাই আমি এসেই গেলাম ইলম অন্বেষণের পথে৷


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ