ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী
অনেক আগের কথা। আমি শাহেদ হারুন এবং জালালুল ইসলাম নদভী লখনৌগামী ট্রেনের অপেক্ষা করছি পশিমবাংলার রাজধানী কলকাতার শামসি গেস্ট হাউজে বসে। রিজার্ভেশন পেতে দেরি হচ্ছিলো। কলকাতায় থাকতে হয়েছিলো সে বার তিন দিন। অপেক্ষা তো কঠিন ও কষ্টকর। কিন্তু আমাদের তিনদিনের অপেক্ষাকে মনে হয়েছে তিন ঘণ্টা! এর কারণ হলো ২টি। প্রাচীন শহর ঘুরে ঘুরে দেখা। ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশব্যঞ্জক নৈশালাপে রাত পার করে দেয়া। এ ছাড়া খিদে লাগলে সোজা হোটেলে গিয়ে গরুর গোশতের ভুনা খাওয়া। সস্তা আঙুর আর নানা ফল তো ছিলোই!
জানতে পেরেছি, কলকাতা ছাড়া গরুর গোশত পাওয়া যায় না। খাওয়াও যায় না। দেবতা জ্ঞান করে গরু নাকি অন্য প্রদেশের হিন্দুরা খায় না। কিন্তু জ্যোতিবসু বেঁকে বসলেন। কী, গরু খেতে বাধাটা কোথায়? কেনো অমন উপাদেয় খাদ্য থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা, হ্যাঁ? পশ্চিমবঙ্গে এ সব চলবে না!! মুসলমানের মতো হিন্দুও গরু খাবে! .....
আহা, কী মজা! কলকাতার হোটেলে বসে গরু চাবানো যেনো জান্নাতে বসে পাখির নরোম গোশত গেলা! কী যে স্বাদে ভরা!! কী যে উপাদেয়!!
আচ্ছা, বাংলাদেশের বুকে বসে ৯০% ভাগ মুসলমানের এই হালাল খাদ্যটিকে যারা ‘হারাম’ করার অপচেষ্টায় ‘ব্যাপক লাভবান’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তারা কি কলকাতার হিন্দুদেরকেও নিম্ন প্রজাতি জ্ঞান করেন?
সম্পাদক কিশোর স্বপ্ন