বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নারায়ণগঞ্জে চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গ্রেফতার বাণিজ্য, চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও বন্দর থানার ধামঘর ফাঁড়ির পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও নয় কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করেছে জেলা পুলিশ।

প্রত্যাহারকৃত সকলকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে প্রত্যাহারকৃত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনের সময় যাত্রী হয়রানি, গ্রেফতারের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে সোনারগাঁও থানার এসআই মারুফুর রহমান, দিদারুল আলম, নাজমুল আলম ও জহিরুল ইসলাম এবং বন্দর থানার ধামঘর ফাঁড়ির এসআই মাজহারুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে মাসদাইর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, সোনারগাঁও থানার নয় কনেস্টবলকেও বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পুলিশের অন্য এক সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে পরস্পরের যোগসাজশে পাঁচ এসআই গ্রেফতার বাণিজ্য, ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে সোনারগাঁও থানার এসআই মারুফুর রহমানের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এসআই মারুফ জামপুর ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শাহ পরানকে গ্রেফতারের পর দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন। ১৭ এপ্রিল রাতে এসআই মারুফ জামপুর ইউনিয়নের বুরুমদী গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে আসেন। পরদিন সকালে তিনি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে তার ভাইয়ের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমিনুলের ভাই ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম ৩০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন।

সূত্র আরও জানায়, ১৮ এপ্রিল পরস্পরের যোগসাজশে পাঁচ এসআই  কলতাপাড়া গ্রামের রুবেল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর মায়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে একলাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওই মাদক ব্যবসায়ীর মা রুনা বেগম পরদিন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনাগুলো ছাড়াও ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাতের বেলায় আসামি গ্রেফতারের পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের অভিযোগও রয়েছে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ