শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা

রমযান মাস কেন তাৎপর্যময়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোশাররফ ইবনে আলী

ইংরেজি বারো মাস, বাংলা বারো মাস। ঠিক তদ্রূপ আরবিতেও বারোটি মাস। এই বারো মাসের নবমতম মাস রমযান মাস। অন্য সকল মাস থেকে এই রমযান মাস সর্বশ্রেষ্ঠ মাস। বিশ্ব মুসলমানের জন্য রহমতের মাস, বরকতের মাস, নাজাতের মাস।

রমযান শব্দটির আভিধানিক অর্থ:চূর্ণ বিচূর্ণ করা,  আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দেওয়া। পরিভাষায় বলা হয়, শরিয়তের নির্ধিষ্ট সময় তথা সোবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থেকে নিজের কুপ্রবৃত্তি ও খারাপ নফসকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়া।

রমযান মাস রহমতের মাস। বরকতার মাস। নাজাতের মাস। এটা কুরআন নাযিলের মাস। এটা গুনা মাফের মাস। বেশি বেশি নেকি অর্জনের মাস। বেশি বেশি জিকির করার মাস। কুরআন তেলাওয়াত করার মাস।এটা ক্ষমার মাস। বেশি বেশি দান সদকার মাস। আখেরাতের সম্বল সঞ্চয়ের মাস। এটা জান্নাত লাভের মাস।জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।

আমরা জানি প্রত্যেক জিনিসের একটা মৌসুম থাকে, বাহার বা শীজন থাকে। সেই মৌসুমে সেই জিনিস বেশি পাওয়া যায়। ব্যবসায়িরা মৌসুমের সময় সেই জিনিস ব্যবসা করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করে। সেই সময়টা সারা বছর থাকে না। বরং বছরে অল্প কিছু দিন থাকে। ঠিক তদ্রূপ রমযান মাস এটা আমলের মৌসুম, সীজন বা বাহার। এই মাসে মানুষ আখেরাতের জন্য প্রচুর পরিমাণে সম্বল সঞ্চয় করবে। আখেরাতের পাথেয় অর্জন করবে। প্রচুর পরিমাণে নেকি অর্জন করবে। আর এই মাসে আমলের পরিমাণও অনেক বেশি। একটা নফল আদায় করলে একটা ফরজের সমান সওয়াব হয়। আর একটা ফরজ আদায় করলে সত্তরটা ফরজ আদায়ের সওয়াব পাওয়া যায়। এক টাকা দান করলে সত্তর টাকার সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহ পাক আরো বেশি দিবেন। তিনি কি পরিমাণ দিবেন তিনিই ভালো জানেন। আর রোযার প্রতিদান তিনি নিজ হতে দিবেন। তার শান অনুযাই দিবেন।

এই জন্য সকলের উচিত রমযান মাসটাকে কাজে লাগানো। বেশি বেশি নেকি অর্জন করা। আখেরাতের সম্বল সঞ্চয় করা। তাহাজ্জুতের নামায পড়া। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা। নিজের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা কামনা করা। নিজের গুণার উপর লজ্জিত হয়ে ও কান্নাকাটি করে গুণা ক্ষমা করিয়ে নেওয়া।

"ঐ ব্যক্তি হতভাগা যে রমযান পেলো অথচ নিজের গুণাকে ক্ষমা করাতে পারলো না"।

অনেকে দেখা যায় এই রহমত ও বরকতের মাসে পেয়েও অবহেলা করে। এমন কি এই মাসে আল্লাহর বিধানগুলো অমান্য করে। আবার কেউ খোদার নাফর মানি করে। কতবড় দুঃসাহস দেখায় খোদার সাথে। আফসোস, শত আফসোস।

আসলে তারাই হতভাগা। তারাই দুর্ভাগা। আল্লাহ আমাদের রমযানের পূর্ণ রহমত ও বরকত দান করুন।

সুরা তারাবি পড়বেন না খতম তারাবি?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ