শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই 

মৃত রোগী! হেঁটে গেলেন বাড়িতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেশ কয়েক দিন ধরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার বাসিন্দা জয়নারায়ণ পান্ডে।

শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে রেখেই বাড়িতে গিয়েছিলেন স্বজনরা। বুধবার সকালে হঠাৎ হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। বলা হয় জয়নারায়ণ পান্ডে মারা গেছে।

মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। মৃতদেহ হস্তান্তরের আগে হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদও দেওয়া হয়।

ফুল-মালা আর শববাহী গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু হঠাৎ হাসপাতালের করিডোরে তাকিয়ে সবার চোখ কপালে। সেখানে দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছেন ওই ষাটোর্ধ্ব জয়নারায়ণ।

[কী লিখেছে হিন্দু মাদরাসা ছাত্রী যা নিয়ে ভারতে তোলপাড়]

মুহূর্তে সবার মাঝে খুশির রেশ ছড়িয়ে পড়লেও পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন ভুলে সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।সে সময় হাসপাতাল থেকে দেয়া মৃত্যুসনদ ছিঁড়ে ফেলে দেন হাসপাতাল কর্মীরা।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিনিউজকে জানায়, হাঁপানি এবং যক্ষ্মা রোগ নিয়ে জয়নারায়ণ গত ১৬ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ৭২ নম্বর বিছানা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সুস্থ হলে গত মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জয়নারায়ণ পান্ডে  হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি যাননি। হাসপাতালের বারান্দায় থাকা আরেক সংকটাপন্ন রোগীকে তিনি তাঁর বিছানা ছেড়ে দেন। তবে এ কথা জানত না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার ভোরবেলা বারান্দার ওই রোগী ৭২ নম্বর বেডে মারা যান। আর ওই ৭২ নম্বরে যেহেতু জয়নারায়ণ ছিলেন, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে ‘মৃত’ জয়নারায়ণের জন্য যে ফুল এনেছিল স্বজনরা, তা পরিয়েই তাঁরা জীবিত জয়নারায়ণকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন। আর এ ঘটনায় তাঁরা থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ