শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

ইমামতি এবং ওয়াজ করে হাদিয়া নেয়া কি নাজায়েজ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সমাজে এমন কিছু লোক আছে যারা বলে, ‘বিনা পয়সায় দীন-দুনিয়ায় শান্তি। তারা বলে- ইসলামী শারীয়াতে যে কোন ধরনের হাদিয়া দেয়া-নেয়া নাজায়েয। এমন কি একথাও বলে যে, ইমামতি করে, ওয়াজ করে হাদিয়া নেয়া জায়েয নাই।

কিন্তু আসলেই কি তাই? ইসলামে হাদিয়া নেয়া কি নাজায়েজ? চলুন জেনে নেই ইসলাম কী বলে।

আসলে যারা বলে বিনা পয়সায় দীন দুনিয়ায় শান্তি তাদেরকে যতি বলা হয় টাকা পয়সা কামাই রুজি না করে ঘরে বসে থাকতে  তখনই তাদের আসল হালত প্রকাশ পাবে।

অধিকাংশ মানুষই এখানে সম্ভবত দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন। তা হল, হাদিয়া এবং পারিশ্রমিক।

হাদিয়া দেয়া ও নেয়া সুন্নত। আর পারিশ্রমিক নেয়া শ্রমিকের অধিকার।

এখন যারা ইমামতী, ওয়াজ ইত্যাদি করে স্বীয় সময়কে ব্যয় করেন। তাদের এ সময় ব্যয়ের পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ কি না? এ নিয়ে মতভেদ আছে। তবে ফুক্বাহাদের মত হল, ইমামতী, মুয়াজ্জিনী, দীনী শিক্ষকতা ও ওয়াজ করে পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ আছে।

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

২৪০৪। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) … ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ‏.‏ قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا‏.‏ وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ‏.‏ ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ‏”

২৪০৬। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

সুত্র: ahlehaqmedia2014.com
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ