গাজী তারেক রহমান: ঢাকায় কবি সাহিত্যিক ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ২৮ এপ্রিল বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ পদক ও ছড়াগুরু মহিউদ্দিন আকবর পদক- ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছড়াগুরু মহিউদ্দিন আকবর (দাদুমণি) এবং প্রধান আলোচক কবি মুহিব খান।
আয়োজনটির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল এইচ লেলিন ও উপস্থাপনায় তারুণ্যের চারণ কবি ইখতিয়ার হুসাইন এবং পরিচালনা করেন গাজী তারেক।
অনুষ্ঠানে কবি সাহিত্যিক ফোরামের পক্ষ থেকে ছড়াগুরু মহিউদ্দিন আকবর (দাদুমণি) ও জাগ্রত কবি মুহিব খানকে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ পদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছড়াগুরু মহিউদ্দিন আকবর বলেন, একজন লেখককে সাহিত্যের উৎকৃষ্ট স্থানে পৌছাতে হলে অবশ্যই তাকে মহান সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহ্) প্রতি যথেষ্ট ভক্তি প্রদর্শন করতে হবে এবং বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যার ফলেই একজন কবি/লেখক তার সাহিত্য কর্মকে আজীবন মানুষের হৃদয়ে স্থান দিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, এই কলমটির মূল্য মাত্র তিন টাকা হলেও এর কালির প্রতিটি দাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলমের লেখনীর মাধ্যমেই সত্য-মিথ্যার ভেদাভেদ স্পষ্ট হয়।
প্রধান আলোচক মুহিব খান বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কবিতা লেখার ক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হতে হবে সকল প্রকার অপসংস্কৃতি রুখে দেওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
অনুষ্ঠানের সম্মানা প্রদান পর্বে উদীয়মান ২০ (বিশ) জন লেখককে সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন, ইউনুস খান, আব্দুল্লাহ আল শাহীন, শামীমা সুমি, বাসিরুল ইসলাম লাবলু, তাহেরা মোন্নাফ রীনা, বাদল রায় স্বাধীন, মোশাররফ হোসাইন রিপন, কিরণ আহমেদ, লুৎফুন্নাহার রুমা, চন্দক বড়ুয়া, রুদ্র আমিন, তাসলিমা রফি, আবু তাহের মিয়াজী, ইব্রাহীম খলিল, তারেক হাসান, বিল্লাল মাহমুদ মানিক, সাইফুল ইসলাম সাইফ,আবু রায়হান মুজাহিদ ইফাত, আবুল খায়ের, সবুজ রানাকেছড়াগুরু মহিউদ্দিন আকবর পদক-২০১৭ প্রদান করা হয়। এসময় মহিউদ্দিন আকবর দাদুমণি, জাগ্রত কবি মুহিব খান, মাহমুদুল হাসান লেলিন, প্রকৌশলী নুরুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ফারজানা করিম ও ইমরান মাহফুজসহ মোট চারজনকে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয় এবং অনুষ্ঠানে সার্বিক সহায়তা করার জন্য সুহৃদ সাহিত্য জলসা (সুসাজ) কে পদক প্রদান করা হয়।
সভাপতি মাহমুদুল এইচ লেলিন তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কবি সাহিত্যিক ফোরাম বাংলাদেশ এর পথচলা একদিনের নয় । এ নিয়ে আমরা প্রায় এক যুগ ধরেই কাজ করে আসছি। আর সর্বশেষ এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আজ আমাদের নতুন দিগন্তের সূচনা হল। আমরা চাই কবি সাহিত্যিকদের এই সমাজে যথার্থ মূল্যয়ন করা হোক।
যেভাবে হত্যা করা হয় ওসামা বিন লাদেনকে