শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ভিক্ষুদের রোষানলে এবার ইয়াঙ্গুনে মাদরাসা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিয়ানমারের এবার সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দাবির মুখে বন্ধ হচ্ছে মাদরাসা। এর ফলে ইয়াঙ্গুন শহরে মুসলিম শিশুদের শিক্ষা হুমকির মুখে পড়বে।

প্রায় ১৫-২০ জন ভিক্ষু ও তাদের শতাধিক সমর্থক শুক্রবার বিকেলে দুটি মাদরাসার কাছে সমবেত হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে তারা দাবি তোলে যেন মাদরাসা ভবনগুলো বন্ধ করে দেয়। এই সময় অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ।

প্রায় তিন ঘন্টা বাদানুবাদের পর কর্মকর্তারা ভবনগুলো বন্ধ করতে সম্মত হয়। ভিক্ষুরা দাবি তুলেছেন, ভবনগুলো অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে।

২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বৌদ্ধ ও মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকেই মিয়ানমারের বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে সহিংসতা ও দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে অভিযোগ করা হয় তারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইন প্রদেশে প্রবেশ করেছে।

বিক্ষোভকারী ভিক্ষু ও তাদের খুশি করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খুব ভালোভাবেই মাদরাসাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাগ্যে কি ঘটবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা তিন শোয়ে বলেন, ‘আজকে যা ঘটলো তা আমার কাছে খুবই দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমাদের ধর্ম নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। এসব ভবন নির্মিত হয়েছে বহু বছর আগে এবং আমাদের বিভিন্ন প্রজন্ম এগুলোর দেখাশোনা করে আসছে।

এর আগে মুসলিমবিরোধী কার্যক্রম চলেছে ইয়াংগুনের বাইরে। এসব কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের প্রাতিষ্ঠানিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব রাজনৈতিককর্মীরা ভবন দখল করে নিয়েছে এবং সেগুলোর অবকাঠামো তছনছ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা এলাকায় প্রাচীন মসজিদে জ্বালিয়ে দিল চরমপন্থীরা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ