আওয়ার ইসলাম: এ দেশের আলেম সমাজ ও কওমী মাদরাসার ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবি কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী দাওরায়ে হাদীস সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুপ্রিমকোর্টের সামনে থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন আধ্যাত্মিক সংগঠন-রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশের আমীর, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী।
মাওলানা ফারুকী বলেন, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কওমী মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত। মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত এ শ্রেণিটি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও তাদের কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছিল না। বিষয়টি নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সরকার নোংরা রাজনীতি করেছে। কওমী ছাত্রদের তাদের অধিকার ও সম্মান থেকে বঞ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষা যে একটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক শিক্ষা এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে দাওরায়ে হাদীসের সনদকে ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবী সাহিত্যে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগি ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন কামনা করেন।
মাওলানা ফারুকী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়েছিলেন কওমি সনদের স্বীকৃতি দেবেন। সেই কথা তিনি রেখেছেন। আলেমদের সকল শর্ত মেনেই তিনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। লাখ লাখ আলেম ও মাদরাসাপড়ুয়াদের কাছে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেলেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিলেন তিনি।
বিবৃতিতে মাওলানা ফারুকী সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকেও সাধুবাদ জানান। তিনি মূর্তি অপসারণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
কওমি স্বীকৃতি ও মূর্তি সরানোর ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীকে চরমোনাই পীরের অভিনন্দন