নূর ও সালাহ দুই বন্ধু। শুধু বন্ধু বললে ভুল হবে, পরম বন্ধু। দু’জন যেন অভিন্ন সত্ত্বা! দু’জনই তুখড় মেধাবী। দু’জনের অধ্যয়নই যে কতো গভীর তা সামান্য আলোচনাতেই বোঝা যায়। অধ্যয়ন বিষয়ে দু’জনার মধ্যে বাড়াবাড়ি পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আছে! প্রতিদিন আসরের নামাজের পর দু’জন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে। আজকাল আসিফ নামের বাল্যকালের তাদের এক বন্ধুও আড্ডায় যোগ দেয়। আসিফ আগে জার্মানিতে থাকতো। কিভাবে জানি গিয়েছিল! এইতো কিছুদিন হলো, একটি এনজিও কোম্পানির চাকরি নিয়ে দেশে ফিরে এলো। নিজেকে সে মুক্তচিন্তার অধিকারী বলে প্রচার করলেও ইসলামের বিরোধিতাই যেন তার একমাত্র কাজ। সালাহ ও নূর তার সঙ্গে এ বিষয়ে মাঝে মধ্যে আলোচনা করে। আজকের আলোচনার কিয়দাংশ এখানে তুলে ধরা হলো। আলোচনা আসিফ-ই শুরু করলো।
আসিফ: আজ তোদের কাছে প্রমাণ করবো যে, তোদের নবী ছিল মিথ্যুক। এবং তা তোদের কোরআন ও হাদিস থেকেই।
নূর ও সালাহের সমস্বরে উত্তর: তাই নাকি! তুই তো আরবি বুঝিস না। পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফ তো আরবিতে। কোরআন-হাসিস বুঝিস কিভাবে?
আসিফ: আরে গাধারা! তোরা তো জঙ্গলু। একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করেও তোদের ঘিলু হলো সেই প্রস্তর যুগের। আজকাল তোদের কোরআন-হাদিস বুঝতে মরু আরবদের সেই আরবি ভাষা জানা লাগে না। বুঝছস?!
নূর: আসিফ! এটা কেমন কথা বললি! পবিত্র কোরআন-হাদিস হলো আরবি ভাষায়। তুই যদি যথাযথভাবে তা বুঝতে চাস তোকে তো সেই মূল ভাষা বুঝতে হবে। এর সঙ্গে আর জঙ্গলু, প্রস্তর যুগ, একবিংশ শতাব্দি ও মরু আরবের কী সর্ম্পক!
সালাহ: আসিফ! তুই তো নিজেকে সব সময় সত্যসন্ধানী বলে প্রচার করিস। আর পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে আরবি ভাষার সর্বোচ্চ অলংকারপূর্ণ ভাষায়। তাই চৌদ্দশত বছর ধরে বহু কাফের আরবরা চেষ্টা করেও কোরআনের একটি সুরার মতো কিছু বানাতে পারে নি। কোরআন তাদের বারবার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা পারে নি। সন্দেহ হলে খুলে দেখ, পবিত্র কোরআনের সুরা বাক্বারার ২৩-২৪ নাম্বার আয়াত ও সুরা বনি ইসরাইলের ৮৮ নাম্বার আয়াত, আর নবীজীও ছিলেন আরবদের মধ্যে সবচে’ বিশুদ্ধভাষী। তো তুই ইসলামের দুই মূল সোর্সের ভাষা আরবি জানা ছাড়া কিভাবে কোরআন-হাদিসের ক্রিটিসাইজ করার চেষ্টা করিস! আর তাই তো সব সময় দেখা যাচ্ছে তোর ক্রিটিসাইজগুলো অশুদ্ধ। ভুল। কারণ, তুই ইসলামের যে বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা করিস তা ভালভাবে বুঝিস না! তো দেখি আজকের তোর কোরআন-হাদিস বিষয় জ্ঞানগর্ব আলোচনা পেশ কর!