শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও অটল রয়ে গেছে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি: ডিসি ওয়ারী খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু

বিচার বিভাগ জিম্মি হয়ে আছে: প্রধান বিচারপতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

sinhaআওয়ার ইসলাম : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “দেশ কি আটকে আছে? দেশ কি চলছে না? রাষ্ট্রের কাছে ব্যক্তি কিছু নয়, প্রতিষ্ঠানই বড়। বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আর সময় দেয়া যাবে না।”

মঙ্গলবার সকালে বিচারকদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে মামলার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

শুনানিকালে এস কে সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের উদ্দেশে বলেন, বিচারকদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ নিয়ে বারবার সময় নেয়া হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কতবার সময় নেয়া হবে।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুই সপ্তাহের সময় চান। কিন্তু প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, “মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছে, রুলস প্রণয়ন করবেন রাষ্ট্রপতি। শিগগিরই বিধিমালা জারি করা হবে। দুই সপ্তাহ চেয়েছি। আশা করি, এ সময়ের মধ্যে অচলাবস্থা নিরসন হবে।”

পরে আদালতে দুই সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে বিচারকদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আরো দুই সপ্তাহ সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই দিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপিত হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময়ের আবেদন পেশ করেন। এই আবেদন গ্রহণ করে ১৪ মার্চ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।

নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকে মাসদার হোসেন মামলায় ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।

ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট ওই বিধি সংশোধন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ