শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

মেঘ ও বৃষ্টি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আশ্চর্যজনক তথ্য !

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মেঘ-বৃষ্টি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এক নিয়ামত। এই নেয়ামতের শোকর আদায় করা আমাদের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মত একজন বেদুঈন আরব একটি মরুময় অঞ্চলে থেকে মেঘ সৃষ্টি, বৃষ্টিপাত, বিদ্যুতের ঝলকানি এসব ঘটনা খুব কমই প্রত্যক্ষ করেছেন। আল্লাহ তাআলা মেঘের গঠন ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত এসব তথ্য তাঁর কাছে নাজিল না করলে তিনি এসবের এমন প্রাণবন্ত বর্ণনা দিতে পারতেন না।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মাজিদে বলেন-

“তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্ত্তপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টি বের হয়। আর তিনি আকাশস্থিত পাহাড় (সদৃশ্য) মেঘমালা থেকে শিলা বর্ষণ করেন, (অথবা মহসিন খানের অনুবাদ মতে : আকাশে শিলার পর্বতমালা রয়েছে)। অতঃপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছে আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়”। (নূর ২৪ : ৪৩)

আল্লাহ আরো বলেন-

“আল্লাহ, যিনি বাতাস প্রেরণ করেন ফলে তা মেঘমালাকে ধাওয়া করে, অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে খন্ড-বিখন্ড করে দেন, ফলে তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বারিধারা। অতঃপর যখন তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ওপর ইচ্ছা বারি বর্ষণ করেন, তখন তারা হয় আনন্দিত।” (রূম, ৩০ : ৪৮)

আবহাওয়াবিদগণ মেঘের গঠন ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি পেয়েছেন।

বাতাস মেঘমালাকে ধাবিত করে যাতে সেগুলি ঘনীভূত হতে শুরু করে।

অতঃপর মেঘগুলি পরস্পর জুড়ে যায় এবং বড় মেঘ তৈরি করে এবং লম্বভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এভাবে মনে হয় যেন সেগুলি স্ত্তপিকৃত।

নবগঠিত মেঘের ওপর অংশে পানির ফোঁটা পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে এবং যখন তা খুব ভারী হয়ে যায়, তখন পৃথিবীতে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে।

আমাদের উচিত, এই তথ্যটিকে উপরিউক্ত কুরআনের আয়াতের সঙ্গে তুলনা করা এবং এতে যে কেউ এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে, কেবল আল্লাহ তাআলাই কোরান মাজিদের এই তথ্যের উৎস।

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ