শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ট্রেন থামিয়ে তেল চুরি চালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 Relwayউমায়ের আহমাদ, নরসিংদী থেকে
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনিধি স্টেশনের কাছে সম্প্রতি ট্রেন থামিয়ে তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরে চুরি যাওয়া ৩০০ লিটার ডিজেল উদ্ধার করা হয়। তবে চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি রেলওয়ে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় ট্রেনের চালক হেমায়েত উদ্দিন ও সহকারী চালক রাসেল মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ বি এম তারেক হোসেন।
সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ পূর্বাঞ্চলীয় জোনে ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে যাত্রী কম থাকলে রাত্রিকালীন ট্রেনগুলোতে চুরি বেশি হচ্ছে। এ কারণে লোকসানের পরিমাণও বাড়ছে। এ পথে আছে তেল চুরির বেশ কয়েকটি চক্র। প্রতিটি চক্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের চালক, গার্ডসহ রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
গত রোববার রাতে পুলিশ জানতে পারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি কনটেইনার এক্সপ্রেস (৮০২) থেকে তেল চুরির ষড়যন্ত্র হয়েছে। চুরি করা হবে শ্রীনিধি স্টেশনের কাছে। চুরিতে সহায়তা করবে ট্রেনটির চালক ও সহকারী চালক।
পুলিশ রাত চারটা থেকে শ্রীনিধি এলাকায় অবস্থান নেয়। ট্রেনটি ভোর পাঁচটা ৩৫ মিনিটে শ্রীনিধি স্টেশনের ৪১ নম্বর সেতুর কাছে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। ট্রেনটি থামার পর সাত থেকে আটজন ড্রাম নিয়ে এগিয়ে আসে। এরপর দেড় ইঞ্চি প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে তেল নামাতে শুরু করে তারা। সাত মিনিট পর পুলিশ সদস্যরা চোরদের ধরতে যায়। তবে তারা পালিয়ে যায়। টের পেয়ে চালকও ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে চলে যান। পুলিশ তেল জব্ধ করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় আনা হয়।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘যে জায়গায় ট্রেনটি থামানো হয়, সেখানে থামার সিগন্যাল ছিল না। আমরা প্রায় নিশ্চিত, তেল চুরির সঙ্গে চালক ও সহকারী চালক জড়িত। তাঁরা ছাড়াও আ. মান্নান. সোহরাব উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া, জিনু মিয়া, তাজুল মিয়া ও কবির মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের তেল চুরির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ