ইশতিয়াক আহমেদ
গত ২-৩ ফেব্রুয়ারি হয়ে গেল হবিগঞ্জের সর্ববৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান `জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর হবিগঞ্জ' এর ১০ সালা দস্তারবন্দী ও আন্তর্জাতিক ইসলামি মহা সম্মেলন।
সেখানে এসেছিলেন দেশের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন আল্লামা শাহ আহমদ শফী থেকে শুরু করে, ভারতের সাইয়েদ আরশাদ মাদানীসহ ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অগণিত আলেম।
বাংলাদেশের প্রধান ওয়ায়েজদের মধ্য থেকে অনেকেই এসেছিলেন এ মাহফিলে। আল্লামা মকবুল হুসাইন আসগরী, আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা তাহমিদুল মাওলা, মাওলানা লোকমান সাদিসহ দেশের আরো বহু শীর্ষস্থানীয় আলেম।
এখানেই সফল আল্লামা হবিগঞ্জী। সফল তার প্রতিষ্ঠান। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। যা হবিগঞ্জে আর কারো পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। এ দিন জুমার নামাজের মুসল্লি হয়েছে নজিরবিহীন।
বর্তমান যুগে যখন মুসলিমরা দ্বীনি জলসা থেকে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ঠিক তখন এমন একটা মাহফিল অবশ্যই দরকার ছিল। হ্যাঁ, লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছে, দ্বীনের নসিহত শুনেছে। মাহফিলের স্বার্থকতা তো এখানেই।
এটা সম্ভব হয়েছে শুধু আল্লাম তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীর বদৌলতে। তিনি হবিগঞ্জের একজন মাথার তাজ। যার মর্যাদা অনেকেই বুঝেন না। কিন্তু উনি চলে গেলে নিন্দুকরা বুঝবে কী রত্ন হারিয়েছে।
হবিগঞ্জের একমাত্র ব্যক্তি তিনি, যার ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে আসে জেলার সমস্ত অঞ্চলের মানুষ। এমন আরেকজনও নে এই জেলায়। যার প্রমাণ আমরা বারবার পেয়েছি। ২ দিনের সম্মেলন দ্বারা এটা আবারো প্রমাণ হলো।
পরিশেষে হযরতের লম্বা হায়াত কামনা করছি আল্লাহর কাছে এবং উক্ত জামেয়ার আরো উন্নতি কামনা করছি।
লেখক- ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট