মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজর অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় কুষ্টিয়ার ইছলাহী ইজতেমা শেষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

kustiaআওয়ার ইসলাম: দারুল উলূম সাবীলুর রাশাদ, ছাতিয়ান, মিরপুর, কুষ্টিয়ার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ঐতিহাসিক 'ইসলাহী ইজতেমা' সোমবার মধ্যরাতে আধ্যাত্মিক রাহবার, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর মুহিউস্ সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান-এর দুআ ও মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।

ইছলাহী ইজতেমায় প্রধান মেহমান ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দের উস্তায আল্লামা সালমান বিজনূরী ও আল্লামা ক্বারী আফতাব আহমাদ।

প্রধান অতিথি ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. এর বিশিষ্ট খলীফা, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর, ঢাকার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সালমান।

সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের প্রফেসর অধ্যাপক মুহাম্মদ সিরাজুল হক।

বরিবার বাদ ফজর দারুল উলূম সাবীলুর রাশাদের উস্তায মাওলানা রুহুল আমীনের ইসলাহী ইজতেমার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মুনাজাত করেন রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশর আমীর মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী। বাদ যোহর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন ঢাকা থেকে আগত মাওলানা মাসরূর তাশফীন।

বাদ আসর থেকে ইজতেমার মূল মাঠে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। বাদ মাগরিব দারুল উলুম সাবীলুর রাশাদ মাদরাসার ছাত্র হাফেজ ইমরান জাহানের তিলাওয়াতের মাধ্যমে মূল বয়ানের কার্যক্রম শুরু হয়।

১ম দিনে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন দারুর রাশাদ মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ সালমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধ্যাপক ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, ঢাকা থেকে আগত মুফতি আব্দুল্লাহ নাটোরী, মুফতি আনোয়ারুল ইসলাম, পাক্ষিক সবার খবরের সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার।

২য় দিন বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা মুহাম্মদ সালমান। বাদ জোহর বয়ান করেন জামিয়া ইসলামিয়া মাহমূদিয়া, দর্শনার মুহাদ্দিস মুফতি আবুল বাশার। বাদ মাগরিব বয়ান করেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, আল্লারদর্গা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল হক, জামিআতুস সুন্নাহ, শিবচরের শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মুমিন খান, মাওলানা মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।

সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার রিসার্চ ফেলো, রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলূম সাবীলুর রাশাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী।

জিকিরে ফিকিরে হাজার হাজার নারী-পুরুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশ গ্রহনে ইছলাহী ইজতেমা হয়ে উঠেছিলো রূহানী ও আধ্যাত্মিকতার মহামিলন মেলা। যুবক শ্রেণীসহ গ্রামবাসীর সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো অভূতপূর্ব।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ