শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার

হারুলিয়া জামে মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

5645আওয়ার ইসলাম : মুঘল আমলে নির্মিত আটশ’ বছরের প্রাচীন মসজিদটি সংস্কার ও রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে বিলীন হতে চলেছে। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজলার মোজাফ্ফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামে ঐতিহাসিক এ মসজিদটি অবস্থিত।

মুঘল আমলে তৈরি এ ঐদিহাসিক মসজিদটি দুর্লভ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মসজিদটির সামনে রয়েছে, বিশালকার দৃষ্টিনন্দন জালিয়ার হাওর। মসজিদটি কেন্দ্র করে অত্র এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু অযত্ন, অবহেলা, সংস্কার ও প্রচারের অভাবে উপ-মহাদেশের অন্যতম এই ঐতিহাসিক মসজিদটি আজও অজানা রয়ে গেছে।

হারুলিয়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, মুঘল আমলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির অত্যন্ত স্নেহভাজন ও অনুসারী শাইখ মোহাম্মদ ইয়ার নামক এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ১২০০ খ্রীস্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।

মসজিদটির বর্তমান ঈমাম মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, মসজিদের ভেতরে দেয়ালের গায়ে ফার্সিতে শাইখ মোহাম্মদ ইয়ারের নাম এবং ১২শ' খ্রীস্টাব্দ অঙ্কিত রয়েছে। এ ছাড়া ফার্সিতে আরো অঙ্কিত রয়েছে- 'শাইখ মোহাম্মদ ইয়ারে বাসিন্দা, হারুলিয়া বসিটকে, আইজ দীলে সুধাবানী মসজিদ, হাজারে দু’সাদ্দেখানা দু’সনমে বুয়াত, বাহাতুপে আমুদা তারকে সালেশ'।

সাত শতাংশ জমির ওপর নির্মিত মসজিদটির চারকোনায় চারটি পিলার রয়েছে। যার উপরিভাগ কলসি দ্বারা গম্বুজাকার কারুকার্য মন্ডিত। চৌকোন বিশিষ্ট মসজিদটির পুরো ছাদ জুড়ে একটি মাত্র বিশালাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের উত্তর পূর্ব ও দক্ষিন দিকে তিনটি লম্বাটে দরগা ও সামনের অংশে ছোট্ট একটি চৌচালা টিনের ঘর রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, জায়গা কম থাকায় মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে এই চৌচালাটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

নির্মাণশৈলী ও অবকাঠামো দেখে ধারনা করা যাচ্ছে, পোড়ামাটি, লালি, চুন, চিনি, চিটাগুড়, কষ এবং এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা এই প্রাচীন মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।

গ্রামবাসী ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, গত ৮-১০ মাস পূর্বে রাতের আঁধারে কে বা কারা মসজিদের ভেতরে ঢুকে ফার্সিতে অঙিÍত একটি বহু মূল্যবান প্রায় ৬-৭ কেজি ওজনের কষ্টিক পাথর চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই পাথরটি আজও উদ্ধার করা যায়নি।

গ্রামবাসী এটিকে হারুলিয়া দক্ষিণপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ আবার গাইনের মসজিদ বলেও অবহিত করে থাকেন।

অনেকের ধারণা,  মসজিদটি গাইন সম্প্রদারের লোকেরা নির্মাণ করে ছিলেন বলে এটিকে গাইনের মসজিদও বলা হয়।

মুঘল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ