হৃদয় মজুমদার
ব্লগার
আমাদের ক্রিকেটাররা আজকাল প্রেমের নামে যেভাবে নষ্টামি করে বেড়াচ্ছে তাতে মেয়েগুলোর জীবন নষ্ট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সে যদি একবার লোকলজ্জা তুচ্ছ করে বিচার চেয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ায়, এই ক্রিকেটপ্রিয় জনতার কাছ থেকে সে সিমপ্যাথি পাবে না, সত্যমিথ্যা প্রমাণ হোক এমন আশাও পাবে না, পাবে বে.. খ্যাতি!!
অন্ধভক্তরা বলবে টাকার লোভ মেয়েটা ইনোসেন্ট ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রটাচ্ছে!! মানুষ তাকে দেখে থুথু দেবে, ঘৃণায় নাক সিটকোবে, ফেসবুকে ক্রিকেটারের ভক্তরা তাকে নিয়ে চালাবে ব্যাঙ্গবিদ্রুপ, মিডিয়ারা প্রচার করবে তাদের প্রেমের অডিও কনভারসেশন, ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে কোনদিন কি লিখলো, প্রতিদিন তাদের নিয়ে থাকবে স্পেশাল এপিসোড। মেয়েটা হবে সবার তামাশার পাত্র।
তারা বুঝবে না মেয়েটা সংসার বাঁধার আশা বহু আগেই ত্যাগকরে কেবল বিচারটুকু চাইতে এসেছে। সারাটা দেশ একদিকে থাকবে, আর মেয়েটা পড়ে থাকবে বিপরীত দিকে, তার পাশে দাঁড়াবে কে? তার পরিবার!!
তাদেরও হয়তো মেয়ের জন্য সমাজে লজ্জায় মাথাকাটা যাবে, তারাও হয়তো ভাববে এসব পুলিশ-বিচার-কোর্টকাছারি-সাতকাহন নাকরলেই বোধ হয় ভালো হতো। অন্তত সম্মানটা বাঁচতো।। মেয়েটা পড়ে থাকবে একা, এক সমাজধিকৃত ধর্ষিতা।।
ক্রিকেটারকে কেউ দোষ দেবে না, রুবেল হোসেন, আরাফাত সানিদের পাশেই মানুষ অন্ধের মত দাঁড়াবে। যেন এত্তবড় খেলোয়াড় কিছুতেই লুইচ্ছা হতে পারে না। সমাজ তাদের অভিযোগ করবে না।
পাব্লিক সিম্প্যাথি পাবে তারা, সবাইকে পাশে পাবে তারা। তারপর বীরের মত খালাস পেয়ে ভিক্টরি চিহ্ন দেখিয়ে চলে আসবে। তাকে লুইচ্ছা বলে কখনো কেউ ডাকবে না। অপরাধ ঢাকা পড়ে যাবে টাকা আর পাবলিক সাপোর্টের জোরে।
শেষ অধ্যায়ে মেয়েটা সর্বহারাই হবে। হবে একঘরে। বহুকাল কাউকে মুখ দেখাবে না, আর ক্রিকেটার চলবে বীরদর্পে, লাখো মানুষের হাততালি আর ভিড়াভিড়ি সেখানে।
স্টেশন ব্লগ থেকে