বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে সংস্কার জরুরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী সিরাজী
মাদরাসা শিক্ষক

gajalদিনদিন আমাদের কওমি সমাজেও জড়ো হচ্ছে অপসংস্কৃতি, শিগগির এর সংস্কার দরকার। দূর থেকে অনুধাবন করলে এগুলো গানের কনসার্ট নাকি মদীনার শান বুঝা বড্ড দায়।

আমাদের তরুণ প্রজন্ম মাদরাসা পড়ুয়া সংঙ্গীত শিল্পীবৃন্দ তারুণ্যের চেতনা নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক  সংগঠন/শিল্পীগোষ্ঠী। নিত্যনতুন এবং পুরাতন ইসলামি সঙ্গীতগগুলোকে নতুন করে দীনদার মানুষের তুলে ধরছেন। এসবে তারা অকল্পনীয় সাড়াও ফেলেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে গিয়ে অপসংস্কৃতি বিস্তারও করছেন। যা অত্যন্ত অমার্জিত। অনেকে গানের অন্ধকার  জগতকেও মিলিয়ে দিচ্ছেন ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে।

আমরা যদি পেছনে ফিরে তাকাই। দেখতে পাব, বিপ্লবী সংগীতের রূপকার  ‘আইনুদ্দিন আল আজাদ’ রহ. ও মায়াবী কণ্ঠের গায়ক  নুরে আলম সিদ্দিকীসহ অনেকেই  হামদ, নাত, গজল ও তারানা পরিবেশন করে মুগ্ধ করেতেন মুসলিম জনতাকে। তাদের সেই হৃদয় জাগানিয়া সুর এখন কই?

তারা তো কখনো গানের স্বর নকল করেনি। নকল করেননি অন্যের কথামালা। তাই বলে কি তাদের সঙ্গীত সুন্দর হয়নি? বাদ্যযন্ত্রের  বিকল্প হিসেবে জিকিরসদৃশ মুখে উচ্চারিত বাজনা সংযোজন করেনি বলে ব্যহত হয়েছে পথচলা?

আমরা তথাকথিত ‘আশেকে রাসুলদে'র অশুভণীয় কালাম, গ্রামের জারি, বাউলা সংগীতের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি। তবে তাদের স্বরেই যদি বাঁশরী বাজে আমাদের সঙ্গীতে তা হবে দুর্ভাগ্য এবং চরম হতাশার।

আল্লাহ আমাদের তরুণ ইসলামি সংঙ্গীত শিল্পীদের সবাইকে সঠিকভাবে সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে কবুল করুন।

এআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ