আওয়ার ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীর সীমান্তে বিজিবি, চোরাকারবারি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই বিজিবি জওয়ান ও দুই গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা পৌনে দুইটার দিকে রৌমারী উপজেলার চরনতুন বন্দর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে চর নতুন বন্দর গ্রামের মতিয়ার রহমান ও শফিকুল ইসলাম ওরফে সরকার নামের দুই চোরাকারবারি ১০৬৫ পিলারের কাছে ভারতীয় সীমান্তে মাল আনতে গেলে বিজিবি সদস্যরা তাঁদের বাধা দেন। চোরাকারবারিরা বিজিবির সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গ্রামবাসীরা চোরাকারবারিদের পক্ষে সংঘবদ্ধ হয়ে টহলরত বিজিবির ওপর হামলা চালায়। এতে ইজলামারী বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক কার্জেন ও সদস্য মিরাজ নামের দুই সদস্য আহত হন।
অপর দিকে চোরাকারবারির আত্মীয়রা জানান, চর নতুন বন্দর মতিয়ার রহমান ও শফিকুল ইসলাম সীমান্তে গরু চরানোর জন্য যান। এ সময় বিজিবি সদস্যরা বাধা দিলে মতিয়ার রহমান ও শফিকুল সরকার প্রতিবাদ করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিজিবি দুই গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারপিট করেন। শফিকুল ওরফে সরকারের হাতে বেয়নেট চার্জ করে এবং চোখ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে বিজিবি। তাঁদের এ অবস্থা দেখে গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজিবির ওপর চড়াও হয়।
রৌমারী সদর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবদুর রফিক দুই বিজিবি জোয়ান আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ওই সময়ে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান ও শফিকুল ইসলাম কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে মাদক নামাচ্ছিল।
সংবাদ পেয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম নাজেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ফিরে এসে তিনি জানান, নো-ম্যানসল্যান্ডে গ্রামের দুই ব্যক্তি গরু বাঁধতে গেলে বিজিবি সদস্যরা তাতে বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে জামালপুর বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আতিকুর রহমান সংঘর্ষ হয়েছে স্বীকার করে বলেন, চোরাকারবারিরা সীমান্তে বিভিন্ন পরিচয়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ডিউটিরত বিজিবি সদস্যরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়।
ডিএস