শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


শপথ নেওয়ার পরপরই গ্রেফতার হলেন নাসিক কাউন্সিলর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%a6আওয়ার ইসলাম: শপথ গ্রহণ শেষে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফিরেই দলীয় কর্মসূচি থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

 বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ডিআইটি এলাকায় দলীয় কর্মসূচি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া  অন্য তিন জন হলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রানা মুজিব, আল আমিন ও বাদশা মিয়া।
এছাড়া বিএনপি মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ নেতাকর্মী আহত হন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপি ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বিকেলে মহানগর যুবদল নগরীর ডিআইটি এলাকা থেকে মিছিল বের করলে পুলিশ প্রথমে মিছিলে বাধা দেয়। পরে যুবদল নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় কাউন্সিলর খোরশেদসহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যুবদল নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা (সাবেক) ও সিটি করপোরেশনের টানা ৩ বারের কাউন্সিলর। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।

এদিকে একই সময়ে ঘটনাস্থলের অদূরে একই কর্মসূচি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে নগর বিএনপি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং নেতা কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে নগর বিএনপি ও যুবদলের ১০ নেতা কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সহ সভাপতি মঞ্জুর আলম মুছার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত অন্যরা হলেন, নগর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাষানী, অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, জাহিদ প্রধান, যুবদল নেতা জুলহাস, ছাত্রদল নেতা রশিদুর রহমান রশু প্রমুখ।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে নাসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ নগর বিএনপির ব্যানারে একটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বিনা উস্কানি ও কারণে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে মিছিলটি পণ্ড হয়ে যায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'নগরীকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা এবং জনগণের জানমাল রক্ষার্থে মিছিল দু’টিতে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এছাড়া একটি মিছিল থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'

ডিএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ