আওয়ার ইসলাম: ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে আজ ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা অংশ নিয়েছেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে দলটি ৮ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাছানাত আমিনী, মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা যোবায়ের আহমেদ ও মাওলানা জসিমউদ্দিন, যুগ্মমহাসচিব উপাধ্যক্ষ মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মঈনউদ্দিন রুহী ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধনিকভাবে স্বাধীন হলেও স্বাধীনভাবে কাজ পরিচালনা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হন। কেননা কমিশনকে প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সর্বোপরি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে।
দলটির দেয়া ৮ দফা প্রস্তাবগুলো হলো-
১. সৎ, নিষ্ঠাবান, যোগ্যতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ-নির্দলীয় ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা।
২. বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের অনুরূপ নির্বাচন কমিশন গঠন করা।
৩. নির্বাচন কমিশন যেন স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়।
৪. নির্বাচন কমিশনের সদস্য পাঁচজনের পরিবর্তে আটজন করা।
৫. বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ সাপেক্ষে তাদের অপসারণ করা।
৬. নির্বাচন কমিশনার হিসাবে অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ, নির্দলীয়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত প্রস্তাবে বলা হয়, সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ আলেমদেরকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে।
৭. যে সব নির্বাচন কমিশনার ইতোপূর্বে ক্রটিপূর্ণ ভোটার তালিকা তৈরির মাধ্যমে দেশ ও জাতির আর্থিক ও নৈতিক ক্ষতি সাধন করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।
৮. উপরোক্ত বিষয়ের জন্য যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে।
আরআর