শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প

ইতিহাসে থাকবে না রোহিঙ্গাদের নাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

rohinga17আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের অধিবাসী রোহিঙ্গারা সে দেশের আদি আধিবাসী নয় এমন তথ্য ও প্রমাণ নিয়ে ইতিহাসগ্রন্থ রচনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মিয়ামারের ধর্ম মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারের ইতিহাসে স্থান পাবে না রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অব্যাহত নির্যাতনের মধ্য দিয়েই গৃহীত হচ্ছে এ সিদ্ধান্ত।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে আদিবাসী এবং সরকার তাদের ওপর বিভিন্ন সময় অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে ভিনদেশিদের এমন দাবির জবাবে লিখিত হবে ইতিহাসগ্রন্থটি।

গত সোমবার মিয়ানমারের ধর্ম ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।

ফেসবুকে এক বার্তায় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে একটি বই প্রকাশের ঘোষণা দিচ্ছি আমরা। প্রকৃত সত্য হল, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি মিয়ানমারে জাতি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইতিহাসে কখনো ছিল না। এর ব্যবহারও হয়নি।’

মন্ত্রণালয়ের দাবি, ১৯৪৮ সালে এক বাঙালি আইনপ্রণেতা সর্বপ্রথম রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে। মিয়ানমারে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের হাতে নির্য়াতিত। রোহিঙ্গা মুসলমানরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। এদের দুর্দশাকে এককালের নির্যাতিত দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদীদের নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

মিয়ানমারের বৌদ্ধদের দাবি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে।

এমনকি সুচিও তার সরকারি কর্মকর্তাদের ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে।

রোহিঙ্গা মুসলমানেরা মিয়ানমার সরকারের এ দাবি বরাবরই প্রত্যাহার করে আসছে। তাদের দাবি, রাখাইন তাদের আদি নিবাস। কয়েক শ বছর ধরে রাখাইনে তারা বসবাস করছে। তাদের কয়েক পূর্ব পুরুষেরও আবাসস্থল ছিল রাখাইন এ দাবি রোহিঙ্গাদের।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ