বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাওলানা আবদুল জব্বার রহ. স্মরণসভায় ১০ দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

?

আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশ কওমি মাদারাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. স্মরণসভায় বক্তারা মাওলানা আবদুল জব্বারকে স্মৃতিময় করার জন্য ১০টি বিশেষ প্রস্তাব পেশ করেছেন। তবে বেফাকের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে স্মারকগ্রন্থ এবং স্মরণসভার ব্যাপারে প্রায় সকল আলোচকই জোড় দাবি জানিয়েছেন।

সভায় মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ.  বেফাকে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। তিনি নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে বেফককে ভিন্ন উচ্চতা্য় পৌছে দিয়েছেন। তিনি কথা বলতেন, কথা শোনতেন। তিনি ডায়াসের সামনেও ছিলেন পিছনেও ছিলেন। সবাইকে সঙ্গে কাজ করার অসাধারণ মানসিকতা ছিল মাওলানা আবদুল জব্বারের। মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ.  কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আওয়ার ইসলামকে স্মারক প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া প্রস্তাব করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, আওয়ার ইসলামে একটি কর্ণার রাখতে পারে যেখানে মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. বিষয়ে নবীন প্রবীনদের লেখা, সাক্ষাৎকার, স্মৃতিকথা ইত্যাদি প্রকাশ করবে।

জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের রঈস মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ বলেন, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. এর আমাদের সঙ্গে সুদীর্ঘ পারিবারিক বন্ধন রয়েছে। ঢাকার ফরীদাবাদে যখন আমাদের বাসা, তখন তিনি নিয়মিতই অঅমাদের বাসায় যাওয়া আসা করতেন। অামার পড়া লেখা ও পরীক্ষার খোঁজ খবর রাখতেন। তাকে স্মরণ করে রাখতে বেফাকের উচিত হবে ‘মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. বৃত্তি’ চালু করা । যদি আলাদা করে নাও হয় তবে মেধাতালিকায় উর্ত্তীণ হলে যে বৃত্তিটা দেওয়া হয় সেটার নামকরণ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. বৃত্তি হতে পারে।

শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, আলোচনায় বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন, ১. মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, কওমি মাদরাসার সুরক্ষা,সুসংগঠিত করা সিলেবাসা প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ বলা চলে সব বিষয়ে ভাবতে ভাবতে মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. জীবনের শেষ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. স্মরণসভ, আলোচনাসভা ও দুয়া ইত্যাদি কাজের জন্য সবার আগে দেশের কওমি মাদরাসাগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। সবার আগে আওয়ার ইসলাম এগিয়ে এসেছে এজন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত।

২. বেফাকের উচিত জাতীয়ভাবে দেশের শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে একটি স্মরণ করা।

৩. মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. বিষয়ে  সমৃদ্ধ একটি স্মারকগ্রন্থ করা।  উর্পযুক্ত দাবির কথা বলেছেন, জামিয়া কারিময়িার মুহাদ্দিস মাওলানা জুবায়ের আহমদ আশরাফ, মাসিক মদিনা সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দীন খান, জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর প্রমুখ।

a_jabbar

অনুষ্ঠানের আলোচক মাওলনা গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহও তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন,  ১. তিনি বলেন, কৃতজ্ঞতার দায় থেকে বেফাক নেতাদের উচিত হবে  মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. এর পরিবারের জন্যএকটি সম্মানজনক  স্থায়ীভাতা চালু করা
২. ঢাকার যাত্রাবাড়ি-কাজলা রোডটির নাম মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. সড়ক করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ  করা। যেমনটা ঢাকার গুলিস্থানে হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. সড়ক আছে।
৩. মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. এর নামের সঙ্গে সম্মান দেখিয়ে তার পরিবারের কোন পুরুষ সদস্যকে বেফাকের কোন অফিসিয়াল পদে পদায়ন করা যায় কি তাও বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান এই তরুণ আলেম।
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের বিভাগীয় সম্পাদক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব চমৎকার একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন। তিনি মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার রহ. ্এর জীবন ও কর্ম রচনা করে কওমি মাদরাসার সিলেবাসে পাঠ্য করার জোর প্রস্তাব করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রেখেনছেন, মাওলানা আবদুল জব্বার রহ.-এর জামাতা মাওলানা তানিম হোসাইন মাহমুদি।

সভার সভাপতি বাংলাদেশ কওমি মাদারাসা শিক্ষা বোড বেফাকের যুগ্মমহাসচিব, ঢাকার মুহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কওমি মাদারাসা শিক্ষা বোড বেফাকের সহষবাপতি, মালিবাগ জামিয়ার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী

সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও  বিশেষ অসুবিধার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তার প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ফরদিবাদ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ইমাদুদ্দীন।

আরআর

প্রতিদিন কুইজ প্রতিদিন ৩০০ টাকার বই পুরস্কার, জিততে অংশ নিন রকমারি-আওয়ার ইসলাম সিরাত কুইজে। 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ