যুবাইর ইসহাক
এই শীতে চাদর মুড়ি দিয়ে চা'য়ে চুমুক দিতে কার ভালো লাগে না। অথবা এক সন্ধায় বা সকালে চা'র কাপে চমুক দিকে কে না চান। কাজ বা ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ চা'য়ে চুমুক দেন।
প্রতিদিন আমরা কত রঙের চা'য়ে আর চুমুক দেই। এই দুধ বা রঙ চা। কিন্তু এবার পান করুন সাত কালারে চা। ঠিক এক গ্লাসে সাত রঙের সাত স্বাদের চা। প্রতিটা কালার ভিন্ন। একটি অপরটির সঙ্গে মিশে না। প্রতিটা কালারের স্বাদও আলাদা। অন্যরকম মজা।
এই চা'য়ের জন্য যাবেন কই? যেখানে চা'য়ের রাজধানী সেখানে।এই চা' যেখানে বিক্রি হয় সে স্টলকে নীলকণ্ঠ বলে।
শ্রীমঙ্গলে নীলকণ্ঠ তিনটি। বধ্যভূমি, বিডিআর ক্যাম্প ও কালিঘাটে। এর কোনো একটিতে গিয়ে আপনি আয়েশে খেয়ে নিতে পারেন এক গ্লাস চা। এছাড়া ঢাকার আগারগাঁ সংলগ্ন তালতালাতেও সাত রঙের চা পাওয়া যায়।
সাত রঙের চা'য়ের উদ্ভাবন হলেন রমেশ রাম গৌড়।তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার এক গ্রামের বাড়ি থেকে ২০০০ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এসে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। একসময় কাকিয়াছড়া এলাকায় মুদি দোকানের সঙ্গে চায়ের স্টলও দেন। প্রথমে সাধারণ চা বিক্রি করতেন।
২০০৩ সাল থেকে শুরু করেন রঙিন চা বিক্রি। প্রথমে একরঙা দুধ চা এবং লিকার চা তৈরি করলেও ধীরে ধীরে একটি কাপে দুই রং, এরপর তিন রঙের চা তৈরি করেন।
২০০৬ সালে তিনি পাঁচ রঙের চা তৈরি করেন। তাঁর প্রচেষ্টা চলতে থাকে। এরপর তৈরি করেন ছয় রঙের চা। এখন রমেশ রাম গৌড় একটি গ্লাসে সাত রঙের চা তৈরি করছেন। তাঁর চায়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লে ২০০৪ সালে তিনি শ্রীমঙ্গলের রামনগর মণিপুরিপাড়ায় চা বাগানঘেরা একটি ভাড়া ঘরে নীলকণ্ঠ টি স্টল স্থানান্তর করেন।
নতুন স্থানে চায়ের দোকানের নাম দেন 'নীলকণ্ঠ চা কেবিন'। সাত কালার চা'য়ের দাম ৭৫ টাকা। এই শীতে চাদর মুড়ি দিয়ে সাত কালার চা'য়ে চুমুক দিতে চলে আসে শ্রীমঙ্গল। আর উপভোগ করেন এক কাপে সাত স্বাদ।
আরআর