যুবাইর ইসহাক
সারা বিশ্বে আজ মুসলমানরা নির্যাতিত, নিষ্পেশিত। লাঞ্চিত, বঞ্চিত। চারদিক থেকে ভেসে আসছে একজন ভায়ের বেঁচে থাকার জন্য শেষ আরতি। একজন বোন ইজ্জত বাঁচানোর শেষ চিৎকার। একটি শিশু হায়না থেকে রক্ষা পাওয়ার শেষ কান্নার আওয়াজ।
আজ পানিতে রক্তের স্রোত। মাঝেমধ্যে ভেসে উঠছে জানোয়ারদের কালো থাবায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মানুষের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ। শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে দেওয়া চিৎকারটা আমরা শুনে যাচ্ছি। এই রক্তে স্রোতটা দেখে যাচ্ছি। আমরা এর প্রতিবাদ, প্রতিরোধ কিছুই করছি না। অথচ হযরত নোমান ইবনে বশীর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তুমি মুমিনদেরকে তাদের পারস্পরিক সহানুভূতি এবং বন্ধুত্ব ও দয়ার ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখবে। যখন দেহের কোন একটি অঙ্গ ব্যথা পায়, তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কারণে রাত জাগরণ ও জ্বরের মাধ্যমে তার ব্যথায় সমঅংশীদার হয়।বুখারী ও মুসলিম
আমরা দেহের একটি অঙ্গে আঘাত পেলে তা শুধু সহ্য করি না, মুখ থেকে অনিচ্ছায় প্রতিবাদ আসে। চোখ থেকে বিনা চাওয়ায় অশ্রু বের হয়। ভিতরটা হাহাকার করতে থাকে। আমরা এই আঘাতের প্রতিবাদ করি। আর প্রতিবাদ না করতে পারলেও নিজেকে গুটিয়ে নিই। যেন এ স্থানে আর আঘাতপ্রাপ্ত না হই।
সারা পৃথিবীর মুসলিম এক দেহ হলে, কেন এক অঙ্গে আঘাত হলে অন্য অঙ্গ জানে না।এক চোখ ব্যথা পেলে অন্য চোখ অশ্রু ছাড়ে না। আগুন নিয়ে দৌড়াতে একজন ভাইকে দেখি তাকে ঘরে আশ্রয় দিতে পারি না। দাঁত দিয়ে তারের বেড়া কেঁটে একজন শরণর্থীতে একটু অাশ্রয় চায়, তার অাশ্রয়দাতা হতে পারি না। এর জবাব কি একদিন মহান বিচারকের কাছে দিতে হবে না?ে
আরআর