সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

কওমি মাদরাসা শিক্ষানীতি ও কর্তৃপক্ষ আইন বাতিলসহ আল্লামা শফীর ৫ দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ahmad-safiআওয়ার ইসলাম:  বুধবার সন্ধ্যায় আল্লামা আহমদ শফীর চিঠি নিয়ে প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড- বেফাকের প্রতিনিধিরা। আল্লামা আশরাফ আলীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যে এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহসভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নূরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুনির আহমদ ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম।

সভায় আল্লামা আহমদ শফীর পুত্র চট্রগ্রাম হাটহাজারি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আনাস মাদানী পত্রটি পাঠ করেন। পত্রে কওমী মাদরাসা শিক্ষানীতি ও কর্তৃপক্ষ আইন বাতিলসহ আল্লামা শফীর ৫টি দাবি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। পত্রে বলা হয়েছে, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে যেভাবে দারুল উলূম দেওবন্দের দাওরায়ে হাদীসের সনদকে এম.এ.এর মান দিয়ে মূল্যায়ণ করা হয়েছিল এবং বর্তমানেও ভারতে যেভাবে মূল্যায়ণ করা হয়ে থাকে, ঠিক সেভাবে এবং সে আদলে আপনি যদি অনুগ্রহপূর্বক আমাদের কওমী মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদীসের সনদকে ইসলামিয়াত ও আরবী সাহিত্যে এম.এ-এর মর্যাদা দিয়ে মূল্যায়ণ করার পাশাপাশি ধর্মীয় ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরামের কাজের পরিধি অবারিত করতে সম্মত হন, তাহলে আমরা স্বানন্দে তা গ্রহণ করতে আগ্রহী। সেমতে আমাদের প্রস্তাবনা নিম্নরূপ-

১. ভারতে দারুল উলূম দেওবন্দ যেভাবে নিজ স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা নিয়ে স্বাধীনভাবে চলছে, বাংলদেশের কওমী মাদরাসাসমূহও সেভাবে চলবে।

২. বর্তমান নিজস্ব ধারায় কওমী মাদরাসার প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা-দীক্ষা ও সিলেবাস ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে বহাল রেখে কওমী সনদের সরকারী মান বা মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। মাদ্রাসার স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, স্বাধীন শিক্ষাক্রম পরিচালনা ও স্বকীয়তা বিনষ্ট করে সনদের সরকারী মর্যাদা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।

৩. প্রস্তাবিত কওমী মাদ্রাসা শিক্ষানীতি-২০১২ এবং তদালোকে তৈরিকৃত কওমী মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ বাতিল করতে হবে। কারণ এ জাতীয় কর্তৃপক্ষ বা আইন কওমী মাদ্রাসার ঐতিহ্যবাহী ধারাপরিপন্থী। এর ফলে দেড়শত বছর থেকে চলে আসা কওমী মাদ্রাসা তার চিরায়ত স্বকীয়তা হারাবে বলে আমি আশংকা করি।

৪. কওমী মাদ্রাসাসমূহকে সরকারী অনুদান, এমপিওভুক্তি ও নিবন্ধনসহ নিয়ন্ত্রণমূলক যে কোন রকম পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে হবে।

৫. কওমী আলেমদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ঐকমত্য ছাড়া কওমী সনদসহ কওমী মাদরাসার ব্যাপারে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এছাড়াও পত্রে গুরুত্বের সঙ্গে জায়গা পেয়েছে স্বীকৃতি আলেমদের নেতৃত্বে হবে সেই বিষয়টি। বলা হয়েছে, কোনভাবেই যেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য ও আদর্শচ্যুত হওয়ার আশংকা না জাগে, কওমি মাদ্রাসার সুশৃঙ্খল পরিবেশে যেন বজায় থাকে, সেই লক্ষ্যে কওমী মাদ্রাসা সনদের সরকারী মান প্রদানের বিষয়ে দেশের সিংহভাগ কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মাধ্যমে বৃহত্তর আলিমসমাজের মতামতকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন। আলেম সমাজে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন কারও মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে কওমী সনদের স্বীকৃতির মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেবেন না।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ