শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মুসলিম হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে দায়ী করছে মিয়ানমার!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

rohingua_dirittiআওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, রাখাইনে তৎপর সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, শুধুমাত্র গত ১২ ও ১৩ তারিখে সেনাবাহিনীর ব্যাপক হামলা শুরু হওয়ার পর ১৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং তারা কোথায় আছে কেউ জানে না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে আসা  সন্ত্রাসীরা রাখাইন মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালাচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমরা প্রশ্ন করি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান জয়নুলকে। তিনি রেডিও তেহরানকে জানালেন, 'এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন এবং শুধু সৌদি আরব, বাংলাদেশ কিংবা মালয়েশিয়া নয় বরং বিশ্বের কোনো দেশ থেকে এসে কেউ এখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে না। তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা অজুহাতে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে, তাদের সম্পদ লুট করছে। এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকেও তারা সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা।'

আচ্ছা,  তো আমরা সবাই জানি যে রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং তারা শত শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় সেখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু তারপরও কেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে ও তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে? এর উত্তরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান জয়নুল জানালেন, 'হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাকে মুসলিম শূন্য করা।'

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, সন্ত্রাসীরা যে কোনো এলাকায় রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগায়। তাই মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও সেদেশের সরকার ও সেনাবাহিনীকে তারা অভিযুক্ত করতে পারে। কিন্তু  ধারণা করা হচ্ছ, মিয়ানমার সরকার নানা কৌশলে রাখাইনের মুসলমানদের ওপর হত্যাকাণ্ডের দায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সৃষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। মিয়ানমার সরকারের এ কূটকৌশল বা ছল-চাতুরীর উদ্দেশ্য হচ্ছে, চিহ্নিত বেশ ক'জন উগ্র বৌদ্ধকে আড়াল করা যারা কিনা মুসলমানদের ওপর গণহত্যায় প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

কেউ কেউ বলছেন, মিয়ানমার সরকার নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য সেদেশে মুসলিম নিধনের পাশাপাশি উগ্র বৌদ্ধদের হাতকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এ কারণে এই উগ্র বৌদ্ধরা সরকারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে এবং মুসলিম নিধনযজ্ঞে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে।

সূত্র: পার্স টুডে

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ