আবদুল্লাহ বিন রফিক
আওয়ার ইসলাম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণার পর ভোগান্তিতে দেশটির মানুষ। জীবনের স্বাভাবিক স্বাচ্ছন্দ ও গতিতেও ভাটা পড়েছে বেশ।
সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন বাজেট ও তার হিসেব-নিকেষ সম্পূর্ণ পণ্ড হয়ে গেছে। একই রকম বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে দারুল উলুম দেওবন্দসহ দেশটির অন্যান্য মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
দারুল উলুম দেওবন্দের পাশে মোট তিনটি এটিএম বুথ আছে। তবে এর মধ্যে একটি সপ্তাহখানেক ধরে বন্ধ। আর বাকি দুটোর মধ্যে রুপি স্বল্পতার কারণে ছাত্ররা বেশ জটিলতার মধ্যে পড়েছে।
মাঝখানে বিএমবির মেশিন কিছুক্ষণের জন্য চালু হলে তাতে নোট পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের বিশাল লাইন হয়ে যায়। সেই লাইনই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের কী ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে!
আর এই নোট পরিবর্তনের জন্য বুথের সামনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময়ও অপচয় হচ্ছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে সেখানকার একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা ভারতের অর্থনীতিতে যেমন বাজে প্রভাব পড়েছে পাশাপাশি সেখানকার মাদরাসা ছাত্রদের নিজস্ব প্রয়োজন পূরণের জন্য ব্যাংকের দুয়ারে যেতে যেতে তারাও বেশ বিরক্ত ও অস্থির হয়ে পড়ছেন। রুপি পরিবর্তন করা এবং ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে তাদের। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, ঘন্টা চারেক যাবত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই।
বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীর বক্তব্য, এমন অনেক ছাত্র আছে যাদের নাস্তা ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণেরও অর্থ নেই। বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে কিংবা ঋণবাবদ কোনো দোকানদার এখন পন্য দিতেও রাজি নয়।
ছাত্রদের কথানুসারে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও দোকানদাররা ১০ রুপি পয়সাও নিচ্ছে না।
এতে কোনো সন্দেহ নেই, প্রধানমন্ত্রীর এই ফয়সালার কারণে গোটা দেশে অর্থনৈতিক জটিলতা যেমন সৃষ্টি হয়েছে তেমনি মাদরাসা ছাত্ররাও নিজেদের প্রয়োজনীয় চাহিদা সম্পন্ন করার জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় লাইনে দাঁড়িয়ে নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরআর
আরো পড়ুন: এই বাড়িটিই বেফাক মহাসচিবের