শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

'হিজাব ধরে টানাটানি করে, বলে দেশ থেকে বের হয়ে যা'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

protest-in-new-workযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর সেখানে হঠাৎ করেই মুসলিম, হিস্পানিক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু অভিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন এসব সম্প্রদায়ের মানুষ।

ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারের সময় বিশেষ করে মুসলিমদের লক্ষ্য করে যেধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন, তাকে এ ধরনের হামলার জন্য দায়ী করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা। বাংলাদেশি মুসলিমরাও হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। তেমনই এক বাংলাদেশির বক্তব্য তুলে ধরে হয়রানির চিত্র তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠই মুসলিম। এরকমই একজন নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসী মাজেদা উদ্দীন। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এটা আমাদের জন্য খুব একটা সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব সাধারণ একটা উদারহরণ দিই'।
এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরের দিনের ঘটনার কথা বলতে থাকেন তিনি।
'আমার ভাইয়ের মেয়ে বাসে করে কলেজে যাচ্ছিল। উনিশ বছর বয়স। সে হিজাব পড়ে। চারজন শ্বেতাঙ্গ দম্পতি তাকে অ্যাটাক করে । তার হিজাব ধরে টানাটানি করে, চিৎকার করে বলতে থাকে এ দেশ থেকে বের হয়ে যা। এটা তোদের দেশ না। গালমন্দ করতে থাকে'।

ভাইয়ের মেয়ে পরে বাস থেকে নেমে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ট্যাক্সিতে চড়ে বাসায় যায়, বলে জানান মাজেদা উদ্দিন। মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা হবে বলে  ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারপর সকলেই কমবেশি এমন আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি নিজেও ভীত একটি মনোভাব নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করেন বলে জানান মাজেদা।

বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে মাজেদার কাছে জানতে চাওয়া হয়- 'নির্বাচনের পরে এ ধরনের হামলা থামানোর কথা তো ট্রাম্প বলেছেন। তাতে কি কোনও কাজ হবে বলে মনে করেন না?

এমন প্রশ্নে আমেরিকার এ বাসিন্দা বলেন, তাতে তিনি একমত হতে পারছেন না। এর যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনের একদিন পরে  ট্রাম্পের নির্বাচনি ওয়েবসাইট থেকে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত বক্তব্য সরিয়ে নেয়া হলেও, তৃতীয় দিনে আবার সেটি ওয়েবসাইটে উঠে আসে।

এবিআর

সূত্র: বিবিসি বাংলা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ