শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

ভারতে এখনো ‘গরু-ছাগলের মতো’ বিক্রি হয় দাসবধূ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

india_wifeআওয়ার ইসলাম: ভারতে হাজার হাজার বালিকা ও নারীকে বিয়ের জন্য ‘গরু-ছাগলের মতো’ বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রির পর ওই দাসবধূদের সহ্য করতে হচ্ছে অমানসিক নির্যাতন। আল জাজিরার এক তথ্যচিত্রে নারী নির্যাতনের এমন ভয়াবহ চিত্র  উঠে এসেছে।

যেমন হরিয়ানার মোখলেসা। প্রথমবারের মতো যখন তাকে বিক্রি করা হয়, তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। আর তার ক্রেতা ছিলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ।

দ্রুত বিয়ে হয়ে যাওয়ার তিন বছর পর সেই বৃদ্ধ মারা যান। এরপর আবার মোখলেসাকে বিক্রি করা হয়।

এবার তাকে সহ্য করতে হয় অমানবিক নির্যাতন। মোখলেসা বলেন, ‘তিনি (ক্রেতা ব্যক্তি) আমাকে খেতে দিতেন না। শুধু তাই নয়, তিনি আমাকে মাঠে নিয়ে মুখে কাঁদা গুঁজে দিয়ে মারধর করতেন।’

ভারতের হাজার হাজার দাসীর মধ্যে মোখলেসা একজন। এমন অনেক বালিকা এবং নারীকে বিয়ের জন্য বিক্রি করা হয়। যাদের নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়।

এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যে ১০ হাজার গৃহবধূ পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে ৯ হাজার বিবাহিত নারী অন্য রাজ্য থেকে সেখানে এসেছে।

আল জাজিরার দেওয়া তথ্য মতে, হরিয়ানার একটি গ্রামে বসবাসকারী নারীরা তিনবারের বেশি বিক্রি হয়েছেন। গ্রামের মানুষরা তাদের ডাকে ‘পারোস’ বলে। ওই নারীদেরকে ক্রয়ের পরই এই অবমাননাকর শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সানজিদা। যিনি ১০ বছর বয়সে হরিয়ানায় পাচার হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে মাঠের কাজ, ঘাস কাটা এবং গরুকে খাওয়ানোসহ সব কাজই করতে হয়। আমি এই জীবন শেষ করতে বা এখান থেকে পালাতে পারছিলাম না। এখানে কোনো ব্যক্তি ছিল না যাকে আমি সাহায্যের জন্য বলব।’ তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামী সর্বদা তাঁকে হুমকিতে রাখতেন।

কিন্তু ভারতে অন্য বিবাহিত নারিদের থেকে সানজিদা অনেক ভাগ্যবান। কেননা তিনি এখন ভারতে নারীদের সাহায্যকারী একটি এনজিওতে কাজ করছেন।

এই সানজিদা এখন মোখলেসাকে সাহায্য করছেন। যিনি বিক্রি হয়েছিলেন ১২ বছর বয়সে। তাঁকে স্বামীর নির্যাতন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মোখলেসা এখন একটি নিরাপদ বাড়িতে থাকছেন। সঙ্গে তার ১৮ মাসের একটি কন্যা আছে।

ভারত সরকার অবশ্য পাচারবিরোধী একটি আইনের খসড়া তৈরি করছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা বলছেন, নারীদের বিক্রি ঠেকানোর জন্য এটা যথেষ্ট নয়।

ভারতের পপুলেশন ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক পোনাম মুখার্জি বলেন, ‘নববধূদের এই বাণিজ্য নারীদের সম্মান নষ্ট করছে। এর মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক অভাবের বিষয়টি উঠে আসছে।’

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ