বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

জেলা পরিষদ নির্বাচন পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

fakhrulআওয়ার ইসলাম: জেলা পরিষদ নির্বাচন পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব স্থানীয় নির্বাচন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে অনুষ্ঠিত হবে।

‘কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ইলেক্টোরাল ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত এ পদ্ধতি সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থি’।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থা কোনো কাজেই আসছে না। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি সম্পূর্ণ নখ-দন্তহীন এ নির্বাচন কমিশন সরকারের অনুগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে’।

‘এ অবস্থায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা (বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট) অংশ নেবো কিনা- তা জোটের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একদিকে এই সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তারা আজ অনায়াসে কোনো জবাবদিহীতা ছাড়াই  মানুষকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আটকে রাখছে, টাকা-পয়সা দাবি করছে, চাঁদা দাবি করছে। দিতে না পারলে জঙ্গি অথবা সন্ত্রাসী মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত তিন মাসে ১শ’ ৫১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তিন দিন আগে যশোরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের এক নেতাকে তুলে নিয়ে গেছে। ঝিনাইদহে ১১ জামায়াত নেতা নিখোঁজ রয়েছেন। এর কারণ একটাই দেশে আইনের কোনো শাসন নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যা খুশি তাই করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার ‍সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লূৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান, বিজেপির মহাসচিব আবদুল মতিন, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির মো. মঞ্জুর হোসেন ইসা, লেবার পার্টির শামসুদ্দিন আহমেদ পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, খেলাফত মজলিশের শফিক উদ্দিন, ন্যাপ ভাসানীর গোলাম মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের এসএম হানিফুল কবীর প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ