ইমদাদ ফয়েজী
সুদীর্ঘ ষোলবছর শিক্ষা অর্জনে কাটানোর পর শিক্ষার স্বীকৃতি না পাওয়া, এমনকি দেশের শিক্ষিত লোকের হার গণনায় বাদ পড়া আর কোনো দেশে জন্ম নিয়ে দেড় যুগের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ও নাগরিকত্ব না পাওয়ার মাঝে কোন পার্থক্য আছে বলে হয়না।
যখন কোনো ব্যক্তি, সমাজ, জাতি দীর্ঘ দেড়দশকেরও বেশি সময় একাডেমিক শিক্ষা নিয়ে, দেশের শিক্ষিত লোকের হার গণনায়ও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না বরং ; অশিক্ষিতই থেকে যায়, সে জাতির শিক্ষাপদ্ধতি -সনদের- স্বীকৃতির প্রয়োজন কতোটা জরুরি তা দিবালোকের মত স্পষ্ট।
এরচে' কঠিন বিষয় হচ্ছে ধীরে ধীরে আমাদের পথচলাকে সংকুচিত করে দেয়া হচ্ছে। আড়চোখে দেখা হয় আমাদের। স্বীকৃতি নেই বলেই এরকম আচরণের শিকার হচ্ছি আমরা। কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি হলে প্রস্ফুটিত হবে আমাদের সুপ্ত প্রতিভাগুলো। সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও প্রখর মেধাবী আলেমগন নিজেদেরকে জাতির কল্যাণে অনেক বেশি সম্পৃক্ত করতে পারবেন; উপকৃত হবে সমাজ, দেশ ও মুসলিম মিল্লাত।
একথা অনস্বীকার্য যে, পৃথিবীতে সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট কাঠামো, বিধি-বিধান আবশ্যক। এক্ষেত্রে কওমি শীর্ষ আলেমগন সর্বাগ্রে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিলেবাস সংস্কারসহ একটা রুপরেখা প্রণয়নের বিকল্প নেই। ইখলাছ ও ত্যাগ, উখুয়্যাত ও ভালোবাসা, ইত্বায়াত ও প্রীতির গাঁথুনিতে স্থাপিত হোক আমাদের অধিকার, আমাদের স্বীকৃতি। একতাই বল, ঐক্যই শক্তি।
এফএফ