সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সিলেটে ছাত্র জমিয়তের কাউন্সিলে বাধা; পুলিশের মধ্যস্ততায় সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jamiat3সিলেট থেকে ইমদাদ ফয়েজী

সিলেটে ছাত্র জমিয়তের অনুষ্ঠান চলাকালে কনফারেন্স হলে ঢুকে কাউন্সিল বানচালের চেষ্টা চালিয়েছে বহিরাগত কিছু যুবক। এসময় জমিয়তের অনুষ্ঠান নিয়ে সমস্যায় পড়েন নেতারা।খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

২২ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ধোপাদিঘীপারস্থ হোটেল ডালাসে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে অনুষ্ঠান বানচালের পেছনে ছাত্র জমিয়তের পদবঞ্চিত কিছু নেতাই দায়ী বলে মনে করেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।

জানা যায়, হোটেল ডালাসের কনফারেন্স হলে ছাত্র জমিয়ত সিলেট মহানগরীর কাউন্সিল চলছিল। এমতাবস্থায় স্থানীয় একটি ছাত্র সংগঠনের পরিচয়ে ৬/৭জন যুবক হলে ঢুকে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। অনুষ্ঠান বন্ধ না করলে তারা হোটেলে হামলা-ভাংচুর চালানোরও হুমকি দেয়। পরিস্থিতি দেখে ছাত্র জমিয়ত নেতারা কৌশলে বেড়িয়ে এসে হোটেলের গেইট বন্ধ করে বাইরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

ছাত্র জমিয়তের সিলেট মহানগরীর সভাপতি বাহা উদ্দিন বাহার জানান, আমরা আইন ও সংগঠনের গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করছি। প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের পরিচয় দিয়ে কিছু যুবক প্রোগ্রাম বানচাল করার চেষ্টা করেছিল তবে তারা সফল হয়নি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, সিলেট মহানগর ছাত্র জমিয়ত নেতৃবৃন্দ পুলিশের অনুমতি নিয়েই অনুষ্ঠান করছিলেন। ভূয়া ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক এখানে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। এরা ছাত্রলীগের নাম বিক্রি করতে এসেছিল। আসলে এরা ভুঁয়া। ম

হানগর ছাত্র জমিয়তের কয়েকজন দায়িত্বশীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, কিছু পদলোভী ব্যক্তি কাউন্সিল বাদ রেখে পুরাতন কমিটি বহাল রাখতে চেয়েছিল। উদ্দেশ্যে বিফল হয়ে কাউন্সিল রুখতে তারা এ ঘটনা ঘটায়।

অনুষ্ঠানে নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা আসরারুল হক, মাওলানা ফখরুল হাসান, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা সাইফুর রহমান, মাওলানা লুৎফুর রহমান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর জমিয়ত নেতা হাফেয মাওলানা আব্দুস সামাদ, মহানগর জমিয়তের সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আশিকুর রহমান, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আহমাদুল হক উমামা, যুব জমিয়ত নেতা মাওলানা যফির উদ্দিন, মহানগর যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সদরুল আমিন, জেলা ছাত্র জমিয়তের অর্থ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন কোম্পানীগঞ্জি, জেলা ছাত্র জমিয়তের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা ফরহাদ আহমদ, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম খালেদ, ছাত্র জমিয়ত সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা শাখার আহবায়ক লুকমান হাকিম, ছাত্র জমিয়ত নেতা আতিকুর রহমান নগরী, মানসুর বিন সালেহ, আবদুল করিম হেলালী, হাফিজ ফাহিম খান।

অনুষ্ঠানে মাওলানা বাহাউদ্দিন বাহারকে সভাপতি ও মুজাহিদুল ইসলাম খালেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি নাসির উদ্দিন খান।

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ