যুবাইর ইসহাক: আরবি সনে প্রথম মাস মহরম। এ মাস পবিত্র মাস সমূহের একটি ও খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। এ মাসের দশ তারিখকে ইয়াউমে আরশুরা বলা হয়। পৃথিবীর বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এ মাসে সংঘটিত হয়েছে। এদিনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরত প্রকাশ করেছেন। বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে নিরাপদে পার করে দিয়েছেন। আর একই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়ে মেরেছেন।
পৃথিবী ধংস হবে এই দিনে। আগেরকার ইহুদিরা এই দিনে রোজা পালন করত। মুসলমানদের উপর রমযানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে এই দিনে রোযা ফরজ ছিল। রাসূল সা. মুসলমানদের দশ তারিখের সাথে মিল করে আগে বা পরে দুইটি রোজা রাখার জন্য বলেছেন।
আশুরার রোজার ফজিলত অনেক। রাসূল সা. অাশরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলেন, রমযানের রোযার পর সর্বশ্রেষ্ট রোযা আল্লাহ তা'আলার কাছে মহররম মাসের রোযা"। মুসলিম শরিফ
অন্য হাদীসে বলেন,"তোমরা আল্লাহর মাস মহররমের সম্মান করবে। কারণ, যে ব্যক্তি মহররমের সম্মান করবে,আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাত দিয়ে সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন"। ইবনে মাজাহ
এছাড়াও এ মাসের ফজিলত রয়েছে অনেক।
কিন্তু আশুরা, মহরম নিয়ে তাজিয়া, শোকগাঁথা পাঠ, শোক পালন, মিছিল ও র্যালি বের করা, শোক প্রকাশার্থে শরীরকে রক্তাক্ত সহ অনেক শরিয়তসিদ্ধ নয় এমন কাজ করা হয়। কিছু কিছু মানুষ এই দিন সম্পর্কে শিরকি কিছু আকিদা বিশ্বাস করেন। হযরত হুসাইন ও হযরত হাসান রা. শাহাদাতকে কেদ্র করে তারা অন্তরে ভ্রান্ত আকিদা পূষণ করেন।
কেউ এ মাস শুরু হওয়ার পর থেকে কোন তরকারি খান না। জুতা পরেন না। গীতি গান। ঢোল-তবলা বাজান। কেউ কেউ বুকে পিঠে ধারালো অশ্র দিয়ে আঘাত করেন।শরীর থেকে রক্ত ঝরান। এ সমস্ত করে কেউ মারা গেলে তাকে শহিদ ভাবেন। অথচ তা অাত্মহত্যার সমান। কাজী নজরুল বলেছেন, চাই না মর্সিয়া গান আর ক্রন্দন।
কবি নজরুল ইসলাম এখানে মর্সিয়া গান ছেড়ে ত্যাড় স্বীকারের জন্য বলেন। এই দিনটি আমাদের ত্যাগ শিক্ষা দেয়। কিন্তু আমরা এই দিনে উৎসবে মেতে উঠি। গীতি গাই। নিজের গায়ে আঘাত করি। যা অবশ্যই বর্জনীয়।
আরআর