[caption id="attachment_13305" align="alignleft" width="458"] স্বীকৃতি বিষয়ে আলেমদের চলমান মতানৈক্য নিরসনে তিনি আলেমসমাজের নিকট অত্যন্ত সহজ একটি প্রস্তাব রেখে বলেন, শফী সাহেবের কামরায় দেশের চারজন বিশিষ্ট আলেমের বসার ব্যবস্থা করতে পারলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদী। ছবি : মুরাদ খান[/caption]
জাকির মাহদিন : বাংলাদেশের আলেম ওলামার দীঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি বাস্তবায়নে সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি, ৯ সদস্যের কমিটি গঠন, বেফাক কর্তৃক প্রত্যাখ্যান ও লিয়াঁজো কমিটি গঠন এবং মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের ‘শাহবাগ-ভূমিকা’ নিয়ে একশ্রেণির মাদরাসা শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অনলাইনকেন্দ্রিক নোঙরা বিতর্ক ও উত্তেজিত মত-মন্তব্যের সয়লাব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ আওয়ার ইসলামকে বলেছেন, ‘কাউকে আকাশে তোলা আর কাউকে পাতালে নামানো দুটোই ভ্রষ্টতা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং ইসলাম তা সমর্থন করে না।’
তিনি বলেন, আল্লামা আহমদ শফী একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। অন্যদিকে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদও স্বীকৃতি নিয়ে কম চেষ্টা-মেহনত করেননি। তিনি কওমি অঙ্গনেরই একজন। তাকেও প্রাপ্য সম্মান মর্যাদা দেয়া উচিত। কখনো কখনো কেউ ভুল করতেই পারে। তাই বলে তার জন্য চিরতরে তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যায় না। সম্প্রতি তার শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ ও নমনীয় অবস্থান অবশ্যই বিবেচনাযোগ্য। বিশেষ করে তাকে নিয়ে ছোটদের মত-মন্তব্যগুলো অতিশয় ঘৃণিত। এটা সাধারণ মানুষের কাছে ইসলাম, মুসলমান ও আলেমসমাজ সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। এ দেশে শীর্ষস্থানীয় আলেম এখনো অনেকেই আছেন। বিষয়টা তাদের হাতেই ছেড়ে দেয়া ভালো।
স্বীকৃতি বিষয়ে আলেমদের চলমান মতানৈক্য নিরসনে তিনি আলেমসমাজের নিকট অত্যন্ত সহজ একটি প্রস্তাব রেখে বলেন, শফী সাহেবের কামরায় দেশের চারজন বিশিষ্ট আলেমের বসার ব্যবস্থা করতে পারলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদী। সেই চারজন হলেন, আল্লামা আহমদ শফী, জামিয়া যাত্রাবাড়ীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এবং চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে প্রস্তাব করেন মালিবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশরাফ আলীর নাম।
এ ছাড়াও এসব বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে তিনি এক দীর্ঘ সাক্ষাতকার দেন। যা বিস্তারিত আসছে আগামীকাল।
এফএফ