
রাজধানী কাবুলে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানটি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়েছে। চুক্তি সম্পর্কে উচ্চ শান্তি পরিষদের উপ প্রধান হাবিবা সোরাবি বলেন, “শান্তি আলোচনা সফলভাবে শেষ হয়েছে।”
চুক্তিতে সই করেছেন উচ্চ শান্তি পরিষদের প্রধান আহমাদ গিলানি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুহাম্মাদ হানিফ আতমার এবং হেকমতিয়ারের প্রতিনিধি আমিন করিম। তবে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি ও হিজবে ইসলামি দলের প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারকে এতে অবশ্যই সই করতে হবে।
১৯৮০’র দিকে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সামরিক আগ্রাসন চালালে হেকমতিয়ার গেরিলা কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ শুরু করেন। পরে সোভিয়েত দখলদারিত্বের অবসানের পর তার গ্রুপ ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে সরকারবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের সময় হেকমতিয়ারকে আমেরিকা ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেয়। তার সঙ্গে তালেবান ও আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করে আমেরিকা।
আরআর