
.
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকা’র উত্তরায় অবস্থিত বায়তুল মোমিন মাদরাসার প্রিন্সিপাল, গাওয়াইর জামিয়া ইসলামিয়া’র মুহাদ্দিস এবং মাসিক যুবকন্ঠের সম্পাদক মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিনের সঙ্গে।
.
তিনি বলেন, এবারের চামড়ার দাম নিয়ে বড় কষ্ট মনে। ভেবেছিলাম চামড়া কালেকশন করে গরিবদের একটু ভালো খাওয়াবো! তা তো আর হলো না। আমার মাদরাসার বোডিং এর অবস্থা ভালো না। একবেলা খাবার থাকলে আরেক বেলার জন্য রাস্তায় নামতে হয়। চিন্তা তো একটু বেড়েই গেল।
.
শুধু কি আপনার মাদরাসার অবস্থায় এমন নাকি অন্যরাও এ দুর্ভাগ্যের শিকার জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোর অবস্থাই ভালো না। কিছু মাদরাসা যাদের অবস্থা একটু ভালো, তাদের ডোনারদের হয়রানি করা হচ্ছে। বারিধারা মাদরাসার ছাত্ররা ২২০০ টাকা করে খাবার বাবদ দেয়, বেতন বাবদ ৫০০। নিরুপায় হয়ে টাকা নিতে হচ্ছে। এমন রোম আছে যেখানে ২০ টা ফ্যান দরকার অথচ আছে ৪ টি। অবস্থা অনেক করুণ।
.

.
কী খরচ জানতে চাইলে তিনি বলেন, পোস্টার ছাপানো ও লাগানোর খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। ছুড়ি কেনা ১৫ পিস ৯ হাজার টাকা। গাড়ি ভাড়া ৩ হাজার টাকা। চামড়া কেনা গড়ে ৭/৮ শ টাকা। বিক্রি করলাম ১১২৫ টাকা তাহলে এখন থাকল কয় টাকা? আমার হিসাবে ১০০ জন ছাত্র ১০ দিন পরিশ্রম করে মোট লাভ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তাহলে একজন ছাত্রের ভাগে পড়ল ৫০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে ১০০ জন ছত্রের ১৫ দিনের খাবারের খরচ হবে।
.
এখন উপায় কী? কী ভাবছেন আপনারা?
তিনি বলেন, এখন আমার মনে হয়, চামড়ার উপর নির্ভরতা আমাদের কমিয়ে আনতে হবে। আমরা এটার উপর অনেক জোর দিয়েছিলাম। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অন্য আয়ের উৎস বের করতে হবে।
.
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: রোকন রাইয়ান