শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

কারাগারের জায়গায় জাদুঘর-পার্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Hasina2 (1)আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত জাদুঘর, বিনোদন কেন্দ্র বা পার্ক, শপিং মল, কনফারেন্স রুম নির্মাণ করা হবে। এ জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হবে না। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পুরাতন জেলখানা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। এখানে বঙ্গবন্ধু বন্দি ছিলেন, সেখানে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। কাজেই এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ইতিহাস সংরক্ষণে এখানে একটি জাদুঘরসহ পুরাতন ঢাকাবাসীর জন্য একটি কনফারেন্স রুম, বিপণি বিতান, পার্ক হবে। পুরাতন জেলখানার জমি এসব কাজে ব্যবহার করা হবে, অন্য কোনো কাজে নয়। একাধিক সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা জেলখানার জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের তীব্র বিরোধিতা করেন।

মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্যের বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কারাগারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার স্মৃতি জড়িয়ে থাকায় সেখানে পার্ক ও জাদুঘর করার আগের সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে। এরপর জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- তা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কেরানীগঞ্জে ছেলেদের জন্য একটি হল নির্মাণ করা হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ২৫ বিঘা জমি আছে। আর ছাত্রী হোস্টেল হবে বর্তমান ক্যাম্পাসের পাশেই। বর্তমান ক্যাম্পাসের মধ্যে ২০ তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। এর বাইরে পূর্বাচল ও ঝিলমিলি প্রকল্পে জায়গা খোঁজা হচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কোন ধরনের পরিকল্পনা?  ছাত্ররা থাকবে কেরানীগঞ্জে, এক জায়গায় প্রশাসনিক ভবন, অন্য জায়গায় ছাত্রী হল? এটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা হতে পারে না। এটা অস্থায়ীভাবে চলতে পারবে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেই ভাবে পরিকল্পনা করুন। একটি অখণ্ড জমিতে হল, হোস্টেল, প্রশাসনিক ভবন, টিএসসিসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা যা দরকার তা যেন করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেরানীগঞ্জে কি আর জমি ছিল না? সেখানে কি বেশি করে জমি কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবন এক জায়গায় করা যেতো না? পরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ব্যবস্থা এক জমিতে করতে পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রীকে।

এইচএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ