আওয়ার ইসলাম: ঈদ, শারদীয় উৎসব কিংবা অন্য যেকোন উৎসবে সবাই স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে কেনাকাটা করতে চায়। পুলিশও বড় বড় শপিংমলগুলোতে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজটি করে যাচ্ছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। তারপরেও কখনো কখনো কিছু দূর্ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আপনাকে নিজে যেমন সতর্ক থাকতে হবে তেমনি কিছু পরামর্শও মেনে চলতে হবে। এতে আপনারই সুবিধা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে ১০ টি নিরাপত্তা টিপস মেনে চলার জন্য সম্মানিত নগরবাসীকে আহবান জানাচ্ছে।
১০ টি নিরাপত্তা টিপস:
১। ধর্মীয় উৎসব, নববর্ষ, বিভিন্ন জাতীয় দিবস এবং উৎসবের সময়ে রাস্তাঘাট, পার্ক এবং সংশ্লিষ্ট উৎসবস্থলে মানুষের ভীড় থাকে। এ সকল স্থানে পকেটমার, গয়নাচুরি, যৌনহয়রানির মত বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
২। ঈদ, পূজা প্রভূতি উৎসবের সময় শপিং সেন্টারে/ মার্কেটে প্রচন্ড ভীড় থাকে। ছিনতাইকারীসহ অন্যান্য প্রতারক চক্র এই সময় নিরীহ ক্রেতাদেরকে তাদের শিকার বানানোর চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৩। অধিক রাতে কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকুন। অধিক রাতে কেনাকাটা জরুরী হলে একা না গিয়ে কয়েকজন মিলে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। যে সব উৎসবস্থলে অত্যাধিক ভীড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেই সব জায়গায় শিশুদের না নিয়ে যাওয়াই উত্তম।
৫। উৎসবস্থলের আশেপাশে কিংবা মেলায় যেসব খাবারের স্টল থাকে সেগুলোতে বেশিরভাগ সময়ই খাবারের জন্য চড়া মূল্য নেয়া হয়ে থাকে। কাজেই খাওয়ার আগে দাম যাচাই করুন।
৬। আপনার সাতে যদি শিশু থাকে তাহলে শিশুদের অভিভাবকের পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর কাগজে লিখে তাদের পকেটে দিয়ে দিন।
৭। যান চলাচল নিয়ন্ত্রনের কারণে কখনো কখনো উৎসবস্থলে পৌঁছাতে কিংবা উৎসবস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে আপনাকে বেশ কিছুটা পথ পায়ে হাঁটতে হতে পারে। পায়ে হাঁটতে সমস্যা থাকলে যাওয়ার আগে ভাবুন।
৮। উৎসবের সময়ে ভীড়ের মধ্যে যেতে হলে ছোট বোতলে খাবার পানি সাথে রাখুন।
৯। উৎসবস্থলে কিংবা আশেপাশে পুলিশের সহায়তাকেন্দ্র থাকলে প্রয়োজনে সাহায্য নিন।
১০। কোন উৎসবস্থলে প্রবেশের আগে নিরাপত্তা চেকিং এর সম্মুখীন হলে পুলিশকে সহায়তা করুন।
ডিএমপি নিউজ