আবদুল গাফফার
বিষয় : কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী সবমিলিয়ে- ২৫ লাখ (আনুমানিক)
স্বীকৃতির ধরণ- শিক্ষাব্যবস্থার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং তাকমীলের মান এমএ, (ইসলামিক স্টাডিজ)
স্বীকৃতি নিতে প্রস্তুত সকল মত ও পথের কওমি আলেম। (২০০৪ সালে ঐক্যমত)
বিএনপি আমলে সরকার প্রধানের মেৌখিক স্বীকৃতি ( কেউ বলছেন মুলা আর কেউ বলছেন মূল্যায়ন)
মহাজোট সরকার বলেছেন, তারা দিতে চান। ( এবং কওমি শিক্ষা কমিশন গঠন) (সন্দেহ করছে অনেকে)
সমস্যা রইলো কোথায়...
কিছু সমস্যা মনে হয়..
১.স্বীকৃতি প্রশ্নে ধারা সৃষ্টি ২.কৃতিত্ব চান সবে
আরো কিছু সমস্যা...
প্রথমত যে ভয়..
(ক) স্বকীয়তা হারাবে (খ) সরকার নিয়ন্ত্রণে নিবে (গ) কওমিকে আলিয়া বানাবে।
কী চান তাহলে...
অখণ্ডতা বজায় এবং সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত । ( এভাবে সরকার দিতে চাবে না)
এখন সবশেষে পক্ষ ৫ টি...
১. মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ সাহেব, (স্বীকতি নিতে মরিয়া, তার পাল্লা হালকা, কারণ, শাহবাগ ইস্যু এবং শীর্ষ আলেমদের সমর্থনের অভাব)
২. মুফতি রুহুল আমিন সাহেব, ( স্বীকৃতি চান, কিন্তু তার বোর্ড দক্ষিণবঙ্গের, পাশাপাশি মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদের সব কাজকে সমর্থন করেন না)
৩. মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব, ( স্বীকৃতি চান, তবে তার অনুসারীরা অনেকেই বেফাকভুক্ত মাদরাসার, আর তিনিও সরাসরি ময়দানে আসতে চান না)
৪. আজাদ দ্বীনী এদারা সিলেট, তানজীম উত্তরবঙ্গ এবং চট্রগ্রামের বোর্ডটি যথেষ্ট শক্তিশালী, তাদের অনেকেই মুফতি রুহুল আমিন সাহেবের সাথে, কিন্তু মুফতি আবদুর রহমান সাহেবের অনুপস্থিতিতে তারা অনেকটা নীরব।
৫. বেফাক বোর্ড, ঢাকার মাদরাসাসহ সারাদেশের উল্লেখযোগ্য মাদরাসার নিয়ন্ত্রক। হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী দলগুলোর শীর্ষ নের্তৃবৃন্দের অধিকাংশই এর সঙ্গে যুক্ত।
স্বীকৃতি প্রশ্নে ৫ ম পক্ষ শক্তিশালী। ( সরকার প্রথম ৪ পক্ষ ছাড়া ৫ ম পক্ষকে একক স্বীকৃতি দিবে না আর ৫ ম পক্ষ এককভাবে স্বীকৃতি চায়) ( সবাই অনড় সবার অবস্থানে)
৫ ম পক্ষ স্বীকৃতির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই শর্ত জুড়ে দিয়েছে।
এবার সরকার যদি মনেপ্রাণে স্বীকৃতি দিতে না চায় তাহলে বলবে...
(ক) আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসেন (আর এটা কখনো সম্ভব হয়নি)
এবার সরকার যদি মনেপ্রাণে স্বীকৃতি দিতে চায় তাহলে..
৫ম পক্ষ বেকে বসবে (ঘটনা একবার ঘটেছিলো)
তখন সরকার বলবে..আমরা স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলাম, আপনারা নেন নাই ।দায় আপনাদের।
তখন দোষারুপের রাজনীতি শুরু হবে।
সবশেষে এখন আমরা যেখানে, সেখানেই থাকবো।
কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আশু স্বীকৃতি প্রয়োজন।
আরআর