শায়খ আহমাদুল্লাহ
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনমদুখি মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে পারার অনুভূতি ব্যক্ত করা সত্যিই কঠিন।
নদীবিধৌত ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। জামালপুর জেলা শহর থেকে আনুমানিক পঞ্চাশ কিলোমিটার ভিতরে। কুড়িগ্রাম জেলার পার্শবর্তী অঞ্চল। দেওয়ানগঞ্জের বুকচিরে চলে গেছে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদ। নদের মাঝে ভেসে ওঠা বেশ কয়েকটি চরে গড়ে উঠেছে নদীভাঙ্গা লোকদের বসতি। স্থানীয় ভোটার লিস্টেও অনেকটা ভাসমান এসব চরের লোকদের নাম নেই। আর তাই সরকারি সব দান-অনুদান থেকেও তারা বঞ্চিত।
সেখানে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া নেই। পাটকাঠি কিংবা টিনের বেড়ার বসতবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। সর্বগ্রাসী বন্যায় সেই মাথাগোঁজার ঠাইটুকুও নাই অনেকের। আমরা ত্রাণ বিতরণের জন্য বেছে নিয়েছি তেমনই তিনটি এলাকা। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মধ্যেরচর, তিনডোবা ও খোমাবাড়ির চারশ'রও অধিক পরিবারের হাতে নিজের হাতে পৌঁছে দিয়েছি ৯ আইটেমের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ত্রাণ সামগ্রী।
আগামী পরশু কুড়িগ্রাম জেলার আরো কিছু অঞ্চলে বিতরণ হবে ইন শা-আল্লাহ।
রাব্বে কারীমের নিকট ফরিয়াদ, আমাদের এই প্রচেষ্টা যেন তিনি কবুল করেন। ভুল বিচ্যুত মার্জনা করেন। যারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের দানের উত্তম বিনিময় দান করেন।
আরআর