আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের বংশোদ্ভুত ইসলামিক স্কলার আনজেম চৌধুরীর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ‘ধর্মীয় জঙ্গিবাদ এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার।
এর আগে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যুক্তরাজ্যের আদালতে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাশে দেওয়া হয়।
জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করার কারণে পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক আনজেম চৌধুরী বহু আগ থেকেই সমালোচিত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গত ২০ বছর ধরে তিনি ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে বিদ্বেষ, ঘৃণা, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন। তার বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে কয়েকশ ব্রিটিশ তরুণ-তরুণী আল-কায়েদা ও আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু হত্যা ও সন্ত্রাসী ঘটনার পেছনেও তাঁর ইন্ধন রয়েছে।
এ ছাড়া গত ১ জুলাই বাংলাদেশের গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সদস্য জঙ্গি নিব্রাস ইসলামও আনজেম চৌধুরীর মাধ্যমে প্রভাবিত বলে অনেকের ধারণা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত আনজেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়। আদালত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তা এত দিন প্রকাশিত হয়নি। এদিকে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত রায় প্রকাশ না হলেও জানা গেছে ১০ বছরের জেল খাটতে হবে আনজেমকে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হবে তাঁর এই শাস্তি।
আনজেম চৌধুরী যুক্তরাজ্যে অভিবাসি হয়ে আসা এক পাকিস্তানি পরিবারের সন্তান। লন্ডনে তার জন্ম। সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন। আনজেম চৌধুরী একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সলিসিটর। লন্ডনের ইলফোর্ডে বসবাস করেন পাঁচ সন্তানের এ জনক।
আরআর