খালেদ সানোয়ার: আমাদের হাইপোথিসিস চলছে। ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে। নৈতিকতার অবক্ষয় কি? আর মূল্যোবোধের অবক্ষয় কি? এই বিষয় গুলো নিয়ে সবাই হাইপোথিসিস করছেন। কিন্তু এর রেজাল্টটা কি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গীবাদকে ইসলামী শিক্ষার সাথে সম্পূরক করে তোলে কারা? অনেক জায়গায় যে পরিশূণ্যতা তৈরী হয়েছে তার ব্যাপারে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিষয়ে বিভিন্ন মত পরিলক্ষিত হচ্ছে।
২০০৬ থেকে যে রাজনীতির খেলা বাংলাদেশে চালু হয়েছিল সেটাও বৈশ্বিক রাজনীতির একটি মোচড়। এই রাজনীতিতে কেউ কেউ লাভবান হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কিন্তু মধ্যখানে দেশের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান তাল সামলাতে না পেরে নানাবিধ প্ররোচনার শিকার হয়ে নিজস্ব ঢং ভঙ্গি বদলে ফেলেছেন। তাই নতুন বদলে ফেলার মাঝে আমরা নতুন কষ্টের সাথে বসবাস করছি।
কবে এই তিমির রাত্রির অবসান ঘটবে সেই ব্যাপারে কেউ নতুন কোন প্রেসক্রিপসন দিচ্ছেন না। ফলে এখানে প্রতিটি রাতেই নতুন অসংগতি ও অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে ঘুমুতে যেতে হয়।
রাত শেষ হলেই নতুন হাইপোথিসিস নিয়ে যেসব প্রপাগান্ডা চলে তার সাথেই আমরা বসবাস করছি। তাই ইসলাম একটি সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রদান করেই তার কার্যক্রম চালায়। তাই বাংলাদেশে প্রবহিত ইসলামী ধারাকে গলা টিপে ধরার যে কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে তা এখানের বাস্তবতায় যথেষ্ট সাইড এফেক্ট দেখা দিবে বলে মনে করি।
আসলে আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নতুনভাবে বস্তুবাদী সভ্যতার সাথে দহরম মহরম দেখাচ্ছি।
৩০.০৭.২০১৬
আরআর