শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

রামেকে নারী সহকর্মীদের গণযৌনহয়রানি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ramekরাজশাহী: বখাটে বলতে তো বাপে তাড়ানো, মায়ে খেদানো ছেলেদেরই বোঝানো হয়। কিংবা উচ্ছন্নে যাওয়া ধনীর দুলালদের অনেকেই বড় মাপের বখাটে হয়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে একজন চিকিৎসক? ঘরে স্ত্রী রেখে, সরকারি দায়িত্ব পালনে হাসপাতালে গিয়েও হয়ে উঠতে পারেন বখাটে? তাও আবার ইন্টার্ন নারী চিকিৎসকদের প্রতি কুনজর? ভাবা যায় কি?

তবে অভাবনীয় এই কাজটিই করে যাচ্ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অনারারি মেডিকেল অফিসার (এইচএমও) মোজাম্মেল হক বাদল। কোনো নারী সহকর্মীই বাদ যাননি তার হয়রানি থেকে।

এইচএমও মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নারী চিকিৎসকদের গণযৌনহয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে এরই মধ্যে শাস্তিমূলক বদলিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামেক কর্তৃপক্ষ। রামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রামেকের একাধিক সূত্রমতে, মোজাম্মেল হক বাদল হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের এইচএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই বিভাগে কোনো নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালনে গেলেই তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন তিনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদেরও তিনি অশালীন কথা বলেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতেন না।

তবে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডা. বাদল যৌন হয়রানি করলে তিনি ওয়ার্ড ইনচার্জের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপর ওয়ার্ড ইনচার্জ বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে ডা. বাদল ওই নারী ইন্টার্নকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন।

এদিকে, এঘটনা হাসপাতালের অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় হাসপাতালের পরিচালক অভিযোগকারী ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। একই সাথে তলব করা হয় ডা. মোজাম্মেল হক বাদলকেও। এ সময় আরও ১৩ জন ভুক্তভোগী নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতাল পরিচালকের কাছে গিয়ে বাদলের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপরই হাসপাতালে জরুরি সভা ডাকা হয়। এ সভায় ডা. বাদলকে বদলীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রফেসরদের নিয়ে সভা করে দুপুরেই তাকে বদলীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ধরনের গুরুতর অভিযোগের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. মোজাম্মেল হক বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে সেটি বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: বাংলামেইল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ