বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাদারগঞ্জে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনে অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

FB_IMG_1467307490982মিনহাজ উদ্দীন : জামালপুর মাদারগঞ্জে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হতে যাচ্ছে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

জানা যায়, বাংলাদেশে মোট ১০০টি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মাদারগঞ্জ এর মধ্যেই অন্যতম। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার ফলে এলাকার ছেলেমেয়েরা কারিগরি শিক্ষা লাভ করে সহজেই কর্মসংস্থান করার সুযোগ পাবে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মির্জা আজম ব্যক্তিগতভাবে তদবির এবং দৌঁড় ঝাপ পেরে এই প্রকল্পটি মাদারগঞ্জে আনতে সক্ষম হয়েছে। এই আগে তার নিরন্তর চেষ্টায় জামালপুর বাসীর প্রত্যাশার চেয়েও বেশী উন্নয়ন প্রকল্প জামালপুর নিয়ে আসছে। টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ একনেকে অনুমোদন হবার খবরে মাদারগঞ্জসহ জামালপুর জেলায় আনন্দেও জোয়ার বয়ে যায়।

জামালপুরের বিশিষ্ট উন্নয়ন কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম এই প্রতিনিধিকে বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা বহু মন্ত্রী এমপি পেয়েছি অথচ জেলাবাসীর জীবন বদল এবং এলাকার উন্নয়নে তেমন কোন নজির দেখা যায়নি। সকলের প্রিয় মানুষ গণমানুষের নেতা মির্জা আজম মন্ত্রী পরিষদে স্থান পাওয়ার পর থেকে জামালপুরকে আমুল পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। একটার পর একটা দেখার মতো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। আমাদের কোন তালিকা তাকে দিতে হয় না। সে নিজেই জানে কোথায় কোন উন্নয়ন কাজ করতে হবে। সে আমাদের কাছে ক্রমশই প্রাণ পুরুষ হয়ে উঠছে।স্বাধীনতা পরবর্তী শত সীমাবদ্ধতার পরেও দেশের অন্যান্য জেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও নীতিনির্ধারকদের বিমাতাসূলভ আচরণে জামালপুরবাসী আশাব্যাঞ্জক উন্নয়ন থেকে বরাবরই বঞ্চিত হয়ে আসছিলো। যোগ্য নেতৃত্বেও অভাব এবং এই জনপদ থেকে উঠে আসা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বা মন্ত্রী, এমপি এবং আমলারা জামালপুর নিয়ে ভাবার বদলে নিজেদের আখের গোছানোর চিন্তা মগ্ন থেকেছে। এবার সময় এসেছে। জামালপুরবাসী পেয়েছে তার যোগ্য সন্তানকে। যে মা, মাটি ও মানুষের দায়বদ্ধতা পূরণে শতভাগ নিজেকে নিবেদন করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। সে একজন মির্জা আজম। যার ব্যক্তিত্ব ও দেশপ্রেম নিয়ে তার শত্রুরাও সমালোচনা করার সুযোগ পায় না। বর্তমান সরকার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে এই যোগ্য মানুষটিকে মন্ত্রী পরিষদে স্থান দিয়ে শুধু জামালপুরেই নয় গোটা দেশবাসীর কাছে ক্রমশই নয়নের মনি হয়ে উঠছে। পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা, বন্ধ হয়ে যাওয়া বস্ত্র ও পাটকল চালু করাসহ নানামূখী উন্নয়ন কর্মকান্ডে মির্জা আজম নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। মির্জা আজমের বদন্যতায় ইতিমধ্যে জামালপুরে অর্থনৈতিক জোন, মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন, বাইপাস সড়ক, লিংক রোড, সাংস্কৃতিক পল্লী, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ১০০ মেগা ওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। জানা যায়, জামালপুরকে উন্নয়নের রোল মডেল করতে কৃষি শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বহুমাত্রিক উন্নয়নের শ্রোতধারায় উদ্ভাসিত হবে এই জনপদের মাটি ও মানুষের মুখ। বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত হবে জামালপুরের প্রতিটি শিক্ষিত যুবক।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর/ওএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ